(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Panchayat Poll 2023 : আজই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন
পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
কলকাতা : শেষপর্যন্ত কি কেন্দ্রীয় বাহিনী ( Central Force ) নিয়ে জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে ( Supreme Court ) । কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ( Panchayat Poll ) ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court 0 । কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে হাইকোর্টের ডেডলাইনের শেষ দিন শনিবার। হাইকোর্টের এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এই রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য় সরকার ও রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ মানার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল কমিশন। কারণ, বৃহস্পতিবার কমিশনার জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ তাঁরা মানবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, 'কোর্ট অর্ডার করেছে। আমি তো আগেও বলেছিলাম, কোর্ট যা অর্ডার করেছে আমরা মেনে চলব।'
আরও পড়ুন :
সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে 'মারধর', বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে মার ! দিকে দিকে এবার প্রত্যাহার-সন্ত্রাস
রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অত্য়ন্ত ক্ষুব্ধ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, শুধু স্পর্শকাতর জেলায় নয়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলাতেই মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাতে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে বলে জানানো হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশকে।
নির্দেশে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন যে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাহিনী চাইলে, তৎক্ষণাৎ কেন্দ্রীয় সরকারকে বাহিনী দিতে হবে। বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
হাইকোর্টের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষের আগেই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য ও কমিশন। যদিও কমিশনের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার । এখনই বলতে পারছি না, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রশ্নে জবাব দিয়েছিলেন রাজীব সিন্হার। পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর শুক্রবার কাকদ্বীপ থেকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে পাশে দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ‘কী করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।...সেন্ট্রাল ফোর্স তো মণিপুরেও নিয়ে গেল। কী হল? সেন্ট্রাল মিনিস্টারের বাড়িই জ্বালিয়ে দিয়েছে। ১৫০ জন মারা গিয়েছে। কিছু করতে পারেনি।'
পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা রুখতে মরিয়া রাজ্য় সরকার? কেন্দ্রীয় বাহিনীতে এত আপত্তি কেন শাসকের? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঢ্জন চৌধুরী বলেন, ' কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে লুঠ করার পথে অন্তরায় তৈরি হতে পারে, লুঠ হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে। বাংলার মানুষ সাগরদিঘি মডেল অনুসরণ করে, নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা বন্ধ করতে হবে। এটা হচ্ছে এই সরকারের, এই পার্টির অসৎ উদ্দেশ্য়।'