AI Tutor: কোনও স্কুল থাকবে না, শিক্ষক-শিক্ষিকাও লাগবে না ! AI জমানায় বড় ভবিষ্যৎবাণী দিলেন টেক সংস্থার সিইও
Duolingo CEO on AI Tutors: লুই ভন অ্যানের মতে প্রথাগত ক্লাসরুম শিক্ষণ পদ্ধতিতে অনেক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যক্তিমুখী শিক্ষাপ্রণালী মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে।

কলকাতা: আগামী দিনে স্কুল বলে আর কিছু থাকবে না, সমস্ত স্কুল উঠে যাবে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও প্রয়োজন পড়বে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেই হবে শিক্ষাদান আর এভাবেই ভবিষ্যতে এআই টিউটরের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বাড়বে দ্রুত। একটি পডকাস্টে এসে সম্প্রতি এই ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ডুয়োলিংগো সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও লুই ভন অ্যান। তিনি বলেন যে আগামীদিনে মূল শিক্ষক হিসেবে কাজ করবে এআই টিউটর, আর স্কুলগুলির কাজ হবে শুধু শিশুদের দেখাশোনা করা, তাদের লালন-পালন করা। দক্ষতা, গ্রোথ সব দিক থেকেই মানব-শিক্ষকের থেকে এই যান্ত্রিক-শিক্ষক অনেকটাই এগিয়ে থাকবে, পারফরম্যান্সের দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে যে কোনও ব্যক্তিকে। সারা গুয়ো নামের এক পডকাস্টারের শো-তে এসে এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
লুই ভন অ্যান আরও বলেন যে তিনি এমনটা বিশ্বাস করেন না যে সমস্ত স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে, কোনও শিক্ষক থাকবেন না, তবে মনে করেন যে স্কুলগুলির মূল ভূমিকা বদলে যাবে। যেখানে এতদিন পর্যন্ত স্কুলগুলি ছিল শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের স্থল, সেখানে তা হয়য়ে উঠবে শিশুর লালন-পালন ও দেখাশোনার স্থল। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে উন্নত এআই সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হবে সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থা।
তাঁর মতে প্রথাগত ক্লাসরুম শিক্ষণ পদ্ধতিতে অনেক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যক্তিমুখী শিক্ষাপ্রণালী মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এখানেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসে আলাদা আলাদা ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার সাপেক্ষে আলাদা আলাদা পাঠক্রম তৈরি করে দেবে। ৩০ জন বা তার বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে একজন মানব-শিক্ষকের পক্ষে প্রতিটি পড়ুয়ার ব্যক্তিগত উন্নতি পর্যালোচনা করা কঠিন, আর সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত শিক্ষক খুব সহজেই প্রত্যেক পড়ুয়ার দুর্বলতার জায়গাগুলি ধরে ফেলবে সহজেই।
লুই ভন অ্যান জানিয়েছেন যে শিক্ষাব্যবস্থায় এআই ক্রমে ক্রমে ব্যবহার করা হবে। বেশ কিছু নিয়ম-কানুনের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা সব সময় কোনও বদলকে আটকানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে জুড়ে থাকে প্রাচীনপন্থী পরিকাঠামো, সাংস্কৃতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি বিষয়ও। এর বাইরেও ক্লাসরুমে এআই ব্যবহার ক্রমেই বাড়বে এবং যে সমস্ত দেশে বড় মাপে উচ্চমানের শিক্ষাদান করা সম্ভব হয় না, সেখানে দায়িত্ব নেবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত শিক্ষক।
তাঁর কথায় এখন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা যে কেবল তাদের হোমওয়ার্ক করার জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে তাই নয়, বরং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেও সহায়তা করছে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে তিনি জানিয়েছেন যে বেশি মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করা মানুষের সহজাত মানসিক বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিতে পারে। এমনকী নিজের প্রতি সন্দেহ জাগাতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI























