Success Story: জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই, পা দিয়ে লিখেই পরীক্ষায় বাজিমাত; JRF-এ সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন অঙ্কিতার
Ankita Topal Success Story: উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম দিদোলিতে জন্ম হয় অঙ্কিতার। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম অঙ্কিতার দুটো হাত ছিল না।

Ankita Topal: কথায় বলে আপনার হাতের রেখাকে বিশ্বাস করবেন না, কারণ যাদের হাত নেই তাদেরও ভাগ্য আছে। আর এই প্রবাদ একেবারেই সত্য প্রমাণ করে দিলেন যেন অঙ্কিতা (Ankita Topal)। উত্তরাখণ্ডের একটা ছোট্ট গ্রামের মেয়ে হয়ে সারা দেশের (Success Story) মধ্যে নিজের কৃতিত্ব প্রমাণ করে দিলেন তিনি। জীবনের প্রতিকূলতাকে ভয় না পেয়ে দৃঢ় সংকল্প ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের এক অনন্য নজির গড়েছেন অঙ্কিতা।
জন্ম থেকেই হাত ছিল না অঙ্কিতার
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম দিদোলিতে জন্ম হয় অঙ্কিতার। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম অঙ্কিতার দুটো হাত ছিল না। আর জন্মের সময় মেয়েকে এমন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে দেখে তার বাবা-মা খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন। অনেকে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও অঙ্কিতার পরিবার কখনও এতে সাহস হারায়নি। মেয়েকে সব ধরনের সাহায্য তারা করেছেন এবং সমস্ত বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই পা দিয়ে লিখতে শেখেন অঙ্কিতা
অন্য শিশুরা যখন হাতে কলম ধরে লেখা শিখছিল, সেই সময় অঙ্কিতাকে বাধ্য হয়েই পায়ে কলম নিয়ে লেখা অভ্যাস করতে হয়। শুরুর দিকে এটা খুব কঠিন ছিল, কিন্তু তার অটল সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের শক্তিতে অঙ্কিতা কম দিনের মধ্যেই এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারেন। ধীরে ধীরে তার পা-ও হাতের মত কাজ করতে শুরু করে। লেখাই নয়, পা দিয়ে অন্যান্য দৈনন্দিন কাজও করতে থাকেন তিনি।
ইতিহাস নিয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে জেআরএফ অর্জন
স্কুলে পড়ার সময় অঙ্কিতা তার অক্ষমতাকে কখনই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি। তিনি ঋষিকেশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হন এবং তারপরে উচ্চশিক্ষার জন্য দেরাদুনে চলে যান তিনি। সেখানে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে অঙ্কিতার ইচ্ছে ছিল গবেষণার কাজ করার। অঙ্কিতা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যা ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা। দুই বছর ধরে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি।
তার বাবা প্রেমসিং তেজপাল তেহরি জেলায় আইটিআই-এর একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তিনি অঙ্কিতাকে সবরকম উপায়েই সাহায্য করেছেন। সবসময় তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন। অঙ্কিতার মাও তার প্রতি যথেষ্ট সহৃদয় ছিলেন। আর তার ফলেই সর্বভারতীয় জেআরএফ পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















