Success Story: ৪ বার প্রিলিমসে ব্যর্থ, হার মানেননি, শেষ চেষ্টায় UPSC জয়- সহকারী অধ্যাপক থেকে কীভাবে সফল IAS আকাঙ্ক্ষা ?
UPSC Success Story: দিনে ৮ ঘণ্টা করে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন আকাঙ্ক্ষা। শুধু তাই নয়, চাকরিও করেছেন। রাঁচির একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

IAS Akanksha Singh: প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন কিন্তু তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক পড়ুয়াই সফলভাবেই পরীক্ষার সমস্ত গণ্ডি উত্তীর্ণ হতে পারেন। ব্যর্থতায় হার না মেনে সফলভাবে আইএএস বা আইপিএস হন কিছু একরোখা, নিষ্ঠাবান পড়ুয়াই। আর তাদের মধ্যেই অন্যতম আইএএস আকাঙ্ক্ষা সিং। চারবার প্রিলিমসেই (Success Story) ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু তবু হাল ছেড়ে দেননি। পঞ্চম তথা শেষবারের চেষ্টায় যুদ্ধজয়। ইউপিএসসি পরীক্ষায় (UPSC Exam) উত্তীর্ণ হয়ে সারা দেশের মধ্যে ৪৪ র্যাঙ্ক অর্জন করেন তিনি। তার এই সাফল্যের কাহিনি অনুপ্রাণিত করবে।
দিনে ৮ ঘণ্টা করে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন আকাঙ্ক্ষা। শুধু তাই নয়, চাকরিও করেছেন। রাঁচির একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আর তার এই প্রয়াস প্রমাণ করে মনোবল এবং দৃঢ় ইচ্ছে থাকলে পৃথিবীর সব বাধা দূর করা যায়, সব অসম্ভব দূর করা যায়।
চারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেই আসে সাফল্য
ইউপিএসসি প্রিলিমসেই পরপর ৪ বার ব্যর্থ হন আকাঙ্ক্ষা সিং। কিন্তু শেষবার প্রিলিমস সহ মেনসেও উত্তীর্ণ হন আকাঙ্ক্ষা। একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপকের কাজ করেও সফলভাবে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। এতবার ব্যর্থতা এলেও হার মানেননি তিনি। আর তারপরেই ২০২৩ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৪ র্যাঙ্ক অর্জন করেন তিনি। রাঁচির এসএস মেমোরিয়াল কলেজে অধ্যাপনা করতেন তিনি। প্রস্তুতির জন্য তার কাছে খুবই সীমিত সময় থাকত। ফলে নিয়ম করে সকালে ৪ ঘণ্টা এবং রাতে ৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। আর এই নিয়মনিষ্ঠাই তার সাফল্যের অন্যতম কারণ।
প্রিলিমসে বেশি জোর দিয়েছিলেন আকাঙ্ক্ষা
আকাঙ্ক্ষা পরে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, আমি জানতাম যে একবার আমি প্রিলিমস উত্তীর্ণ হতে পারলে সহজেই আমি ইউপিএসসির মেনসে উত্তীর্ণ হতে পারব। আর তাই আমি সমস্ত মনোযোগ দিয়েছিলাম প্রিলিমসের জন্য। বহু মকটেস্ট দিয়েছেন তিনি, নিজের ভুলগুলি সংশোধন করে নিয়েছেন। তার ঐচ্ছিক বিষয় ছিল ভূগোল।
বাবার থেকে পেয়েছেন অনুপ্রেরণা
আকাঙ্ক্ষা তার বাবাকে সাফল্যের কাণ্ডারি বলে মনে করেন। ঝাড়খণ্ডের ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতেন তার বাবা চন্দ্রকুমার সিং। আর তার কারণেই ছোটবেলা থেকে তার মনে প্রশাসনিক জগতে আসার ইচ্ছে জেগে ওঠে। জামশেদপুরের রাজেন্দ্র বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে আকাঙ্ক্ষা ভর্তি হয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মিরাণ্ডা কলেজে। তারপর জেএনইউ থেকে এমফিল ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: Cognizant Bonus: ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত মিলবে বোনাস ! বড় সুখবর এই আইটি কর্মীদের
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
