Malda News: মালদায় তৃণমূলের ভাঙন জারি, দলত্যাগ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ১৮ সদস্যের
Panchayat Election 2023:তৃণমূল কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। এবারের দলত্যাগ করলেন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ 18 জন সদস্য
করুণাময় সিংহ, মালদা: তৃণমূলের (TMC) রক্তক্ষরণ অব্যাহত মালদায় (Malda)। এবার দলত্যাগ করলেন কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ১৮ জন সদস্য। যোগ দিলেন কংগ্রেসে (Congress)।
কী হল?
কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কালিয়াচক এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতিও। দুর্নীতি, তোলাবাজির প্রতিবাদেই এই দলত্যাগ, দাবি সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আরিফের। যারা ক্ষমতায় থেকেও মানুষের কাজ করেনি, তারা টিকিট পাবেন না জেনেই দল ত্যাগ করেছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। এদের জন্য জোড়াফুল শিবিরের কোনও ক্ষতি হবে না, সংযোজন আরও। গত কাল, বুধবারই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আরিফ-সহ ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জনই দলত্যাগ করেছেন। কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে কালিয়াচকে আরও শক্তিশালী হলো হাত শিবির।
তৃণমূল-ত্যাগ চলছেই..
এদিনই আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ প্রায় ৩০০ জন কর্মী। শুধু তাই নয়, দলবদলের আগের রাতে দুই তৃণমূল নেত্রী-সহ কর্মী, সমর্থকরা আশ্রয় নিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুকূল সাউয়ের বাড়িতে। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ সুকমলা বেরা ও মকরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ডুমনি মুর্মু। দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলত্যাগীদের। তৃণমূলের দুর্নীতি দেখেই দলত্যাগ বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। ওরা বিজেপির সঙ্গেই ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলবদলের নাটক করছে, প্রতিক্রিয়া শাসক শিবিরের।
তৃণমূল দল ছাড়ার ক্ষোভ উগরে দেন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুকমলা বেরা। তিনি বলেন, ''আমি নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হওয়া সত্ত্বেও যিনি অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেন না। দলাদলি করেন সমস্ত বিষয়টা উপর নেতৃত্ব কে জানানো হয়েছিল তারা কোনও কর্ণপাত করেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অন্য দলে যোগদান করছি বিজেপিতে। বারে বারে জানিও দলে লাভ হয়নি তাই আমরা নতুন দল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং বলেন তৃণমূলের থেকে অত্যাচারিত হতে হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি অত্যাচার করে তাই সুরক্ষিত জায়গার জন্য অন্য দলে যোগদান। বিজেপিতে গেলে এলাকার উন্নয়ন হবে।''
আরও পড়ুন:ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?