(Source: Poll of Polls)
Varun Gandhi: আদর্শগত ফারাক বুঝিয়ে দেন রাহুল, BJP-তে ব্রাত্য বরুণকে এবার কংগ্রেসে স্বাগত জানালেন অধীর
Lok Sabha Elections 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিন বারের সাংসদ বরুণকে টিকিট দেয়নি বিজেপি।
নয়াদিল্লি: গাঁধী পরিবারের উত্তরাধিকারী তিনিও। কিন্তু রাজনীতিতে একেবারে ভিন্ন মেরুতে। সেই বরুণ গাঁধীর (Varun Gandhi) কি এবার কংগ্রেসে 'ঘরওয়াপসি' হতে পারে? লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীই (Adhir Ranjan Chowdhury) এই প্রশ্ন উস্কে দিলেন মঙ্গলবার। সঞ্জয় গাঁধীর ছেলে বরুণকে কংগ্রেসে যোগদান করতে আহ্বান জানালেন অধীর। (Lok Sabha Elections 2024)
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের তিন বারের সাংসদ বরুণকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে বরুণকে কংগ্রেসে আহ্বান জানান অধীর। তিনি বলেন, "উনি (বরুণ গাঁধী) একজন শক্তিশালী নেতা। ভাবমূর্তি স্বচ্ছ এবং গাঁধী পরিবারের সঙ্গে সংযোগ তো রয়েইছে। সেই কারণেই বিজেপি ওঁকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেয়নি। আমার মনে হয়, ওঁর কংগ্রেসে আসা উচিত। আমরা ওঁকে পাশে পেলে খুব খুশি হব।" এর আগে, বরুণকে দলে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও।
লোকসভায় তিন-তিনবারের বিজেপি সাংসদ বরুণ। ২০০৯ সালে প্রথম পিলিভিট থেকে জয়ী হন। ২০১৪ সালে সুলতানপুর থেকে এবং ২০১৯ সালে আবারও পিলিভিট থেকে বিজয়ী হয়ে লোকসভায় প্রবেশ করেন বরুণ। কিন্তু বিজেপি-তে থেকেও বার বার, একাধিক বার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বরুণ। বিতর্কিত কৃষি আইন থেকে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে একের পর এক চিতার মৃত্যু, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বার বার মুখ খোলেন তিনি। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিলই।
সেই জল্পনা সত্যি করে এবার বরুণকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাঁর মা মানেকা গাঁধীকে যদিও সুলতানপুরের প্রার্থী করা হয়েছে। সেই থেকে বরুণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে যেমন দাবি উঠছে, তেমনই রাজনীতি থেকে বরুণ নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
নেহরু গাঁধী পরিবারের উত্তরাধিকারী বরুণ। রাজীব গাঁধীর ছেলে রাহুল গাঁধী সম্পর্কে তাঁর তুতোভাই। সাংসারিক জটিলতা বোঝার বয়স হয়নি যখন, সেই সময়ই জীবনের রাস্তা আলাদা হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। মানেকা গাঁধী পরিবারে ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। মায়ের দেখানো পথেই পরবর্তীতে হাঁটেন বরুণ। এই মুহূর্তে রাহুল এবং বরুণের মধ্যে শুধুমাত্র নেহরু-গাঁধী পরিবারের যোগসূত্রটুকুই রয়ে গিয়েছে।
সেই আবহেই গত বছর নভেম্বর মাসে কেদারনাথে মুখোমুখি হন রাহুল এবং বরুণ। বরুণের ছোট্ট মেয়েকে রাহুল আদরও করেন বলে খবর। কিন্তু দুই ভাইয়ের রাজনৈতিক গতিপথ যে এক হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তা জানিয়ে দেন রাহুল। বরুণের কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, "ও একটা আদর্শকে নিজের বলে মেনে নিয়েছে, যা আমি কখনও মানতে পারব না। অবশ্যই ওর সঙ্গে দেখা করতে পারি, আলিঙ্গন করতে পারি ওকে। কিন্তু ওই আদর্শ আমি মিনে নিতে পারব না।" কিন্তু এবার অধীর খোদ বরুণকে কংগ্রেসের স্বাগত জানালেন।