অবিলম্বে নির্বাচনী আইনের সংস্কার হওয়া উচিত, বিধানসভায় দাবি মমতার
বিধানসভায় অধ্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: বিধানসভায় অধ্যক্ষ নির্বাচনী অনুষ্ঠানে কমিশনকে নিশানা মমতার। অবিলম্বে নির্বাচনী আইনের সংস্কার হওয়া উচিত। বিধানসভায় অধ্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে। অবিলম্বে নির্বাচনী আইনের সংস্কার হওয়া উচিত। চিরকূট দিয়ে বদলি করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "আমি জানি নির্বাচন কমিশন রিগিং ঠেকাবে। টি এন শেষনের সময় থেকে তাই দেখে আসছি। এখন তো পুরো উল্টো। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রিগিং হচ্ছে।"
গত রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। আর ২১-এর মহারণে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় থেকে তৃণমূল। কমিশন বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে এমন কোথাও শোনা গিয়েছে। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন পর্বে প্রশাসনিক স্তরে রদবদল করেছে নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া একাধিক জেলার পুলিশ আধিকারিক। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিরকূটে লিখে বদলি করা হচ্ছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য বিধানসভার একটা নিজস্বতা আছে। এই বিধানসভায় অনেক ঐতিহাসিক বিল পাস করেছে। বাংলার মা-বোনেদের জন্য কাজ করবে নতুন সরকার। এই ভোটে আমরা তরুণ প্রজন্মর সমর্থন পেয়েছি। এদিন কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পাইপ দিয়ে যেন টাকার স্রোত বওয়ানো হয়েছে। এই টাকায় ভারতের সবাইকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া যেত।
বাংলায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণ নিয়েও ফের এদিন সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা সরকার শপথ নিয়েছে ২৪ ঘণ্টা হয়নি তার মধ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা নিয়ে যা ভিডিও পোস্ট হয়েছে, তার ৯৯% ফেক। মানুষকে গিয়ে বোঝান, এ সব প্রচার মিথ্যা। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন প্রচারের পাল্টা তৃণমূলের ডবল সেঞ্চুরি। এলাকায় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা না করতে পারে, নজর রাখুন। কেউ হিংসা করতে চাইলে, এফআইআর করুন।
এদিকে এদিন স্পিকার নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিজেপি। রাজ্যে হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভা ও অধ্যক্ষ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আগেই সেকথা জানিয়ে রেখেছিলেন। এই প্রসঙ্গে এদিন কটাক্ষের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওরা বয়কট করেছে। ওদের তো জনগণ বয়কট করেছে। তাতেও ওদের লজ্জা নেই।