Panchayat Election 2023: ভোটের আগের রাতে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রণক্ষেত্রে হাসনাবাদ
ভোটের আগের রাতেও দিকে দিকে সন্ত্রাস! বেলডাঙায় খুন তৃণমূল কর্মী, দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী।

হাসনাবাদ: আগামীকাল ভোট। আর রাজ্যজুড়ে আজ রাতেই দফায় দফায় বিক্ষোভ, খুন। শুক্রবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাসনাবাদ। হাসনাবাদে বিজেপি কর্মীদের মারধর, জখম হন ৪ জন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির, প্রতিবাদে অবরোধ। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি তৃণমূলের।
ভোটের আগের রাতেও দিকে দিকে সন্ত্রাস! বেলডাঙায় খুন তৃণমূল কর্মী, দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী। মালদার ইংরেজবাজারে তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষ, জখম বেশ কয়েকজন। কেশপুরের বাঘরুইয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ৮জন আহত । হাসনাবাদে আক্রান্ত বিজেপি, জখম ৪ কর্মী, প্রতিবাদে অবরোধ-বিক্ষোভ। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবাদে টাকি রোড অবরোধ গ্রামবাসীদের।
অন্যদিকে, গ্রামবাসীদের বাধার মুখে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকতে পারলেন না কর্মীরা। এলাকা থেকে ফিরতে হল ভোট কর্মীদের। মালদার গাজলের রানিগঞ্জ দুই নম্বর পঞ্চায়েতের ২৪৪ নম্বর বুথের ঘটনা। রাস্তা না হওয়ায় এলাকায় ভোট হবে না বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
ভোটের আগের রাতেই দলবল নিয়ে বুথে শাসক দলের প্রার্থীরা। কাঁকসায় দলবদল নিয়ে বুথে ঢুকে পড়লেন ২ তৃণমূল প্রার্থী। ভোটকর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা, অভিযোগ বিরোধীদের
ভোটকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে বুথে, দাবি ২ তৃণমূল প্রার্থীর।
কোন বুথে কত বাহিনী? শনিবার সবমিলিয়ে প্রায় ৭৪ হাজার আসন, ৬০ হাজারের বেশি বুথ। ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় কোম্পানির উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে বাংলায়। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় ১৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদে সর্বাধিক ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তবে একাধিক জায়গায় ভোটকর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকা নিয়ে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে গতরাত থেকেই। প্রস্তুতি শেষ। এখন অপেক্ষা ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর।
একটি বা দুটি বুথের ভোটকেন্দ্রে থাকছে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৩ থেকে ৪টি বুথের ক্ষেত্রে ৮ জওয়ান, ৫-৬টি বুথের ক্ষেত্রে মোতায়েন করা হবে ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় রাখা হবে কমবেশি ৮০ জন জওয়ানকে। কোথায়, কত বুথে, কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে চিঠি দিয়েছেন বিএসএফ-এর আইজি। আর এত আয়োজনের পরও রক্তপাতহীন নির্বাচন হবে তো, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।





















