Panchayat Election:ভোটে বাকি ৪ দিন, আইএসএফ -তৃণমূল সংঘর্ষে তেতে উঠল কুলপি
ISF Allegedly Attacked By TMC:পঞ্চায়েত ভোটে বাকি মোটে চার দিন। অথচ অশান্তি কমার কোনও লক্ষণই নেই। এদিন হেলিয়াগাছিতে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) বাকি মোটে চার দিন। অথচ অশান্তি কমার কোনও লক্ষণই নেই। এদিন হেলিয়াগাছিতে (Kulpi) আইএসএফ কর্মী (ISF Workers Attacked) সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট, খালি সোডার বোতলও ছোড়া হয় অভিযোগ। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী। উত্তেজনা হটুগঞ্জ বাজারেও।
কী ঘটেছিল?
এদিন তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি। অভিযোগ, হেলিয়াগাছিতে আইএসএফ কর্মী- সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দেদার বোমাবাজির খবর মিলেছে আজও। পাশাপাশি হটুগঞ্জ বাজারেও আইএসএফ কর্মীদের দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছে যান মন্দিরবাজারের এসডিপিও এবং কুলপি থানার ওসি। ঘটনা হল, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে বার বার হিংসার ঘটনার জেরে শিরোনামে এসেছে ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী। রক্তও ঝরে। গত কাল অর্থাৎ সোমবার রাতেই যেমন মাঝেরআইট এলাকায় বোমাবাজির খবর মিলেছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরেরও খবর পাওয়া যায়। এই এলাকারই বাসিন্দা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। শোনা যাচ্ছে, এলাকার রাশ হাতে রাখা নিয়েই দু'পক্ষের মধ্যে গত কাল রাতে বোমাবাজি হয়। এতেই শেষ নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, আইএসএফ কর্মীদের বাধার কারণেই দীর্ঘক্ষণ ওই এলাকায় ঢুকতে পারেনি পুলিশ। যদিও আইএসএফের দাবি, বেছে বেছে তাদের কর্মীদেরই আটক করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও এনেছে তারা। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। রাতের বোমাবাজির পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোল না। ফের শিরোনামে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ।
রক্তপাতের ধারা চলছেই...
গত মাসখানেকের রেকর্ড খতিয়ে দেখলে উঠে আসবে, সংঘর্ষ, বোমাবাজির ধারা কার্যত বিরতিহীন ভাবে চলছে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা তার ব্যতিক্রম নয়। গত শনিবার যেমন নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে ভাঙড়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে, সন্দেহের তির আইএসএফের দিকে। এই ঘটনায় ৬ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ আনে নৌশাদ সিদ্দিকির দল। তা ছাড়া, মনোনয়ন পর্বে একদিনেই ২ তৃণমূল কর্মী ও ১ ISF কর্মীর মৃত্য়ুর সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলা। দফায় দফায় হয়েছে তৃণমূল ও ISFএর সংঘর্ষ। মুড়ি মুড়কির মতো পড়েছে বোমা, চলেছে গুলি, বেলাগাম সন্ত্রাস! কখন থামবে এই সব? উত্তর নেই, অশান্তি চলছেই।