চাকরি কোথায়? জনসভায় চৌকিদার টি-শার্ট পরে আসা যুবদের প্রশ্ন রাহুলের
“আপনি (নরেন্দ্র মোদি) চাইছেন, যে কৃষকরা ২০ হাজার টাকা কৃষিঋণ মেটাতে পারেনি তাদের জেলে ঢোকাবেন। যারা ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আপনি তাদেরকেও জেলে ঢোকাতে পারেন। যদি তাদের শাস্তি না হয়, জেলে না যেতে হয়, তাহলে কৃষকরাও জেলে যাবে না।”
রাজস্থান: রাহুল গাঁধীর জনসভায় ‘চৌকিদার’দের জমায়েত! দেখে স্তম্ভিত কংগ্রেস সভাপতি। তারপরই তাঁদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, চাকরি কোথায়? একই সঙ্গে প্রশ্নবানে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদিকেও।
এদিন, রাজস্থানের চুরু জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর জনসভায় বিজেপির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ স্লোগান লেখা টি-শার্ট পরে এসেছিলেন জনা কয়েক যুবা। তাঁদের স্বাগত জানিয়েই রাহুল পাল্টা প্রশ্ন করেন, “তোমরা চৌকিদার টি-শার্ট পরেছ, তোমাদের সবাইকে স্বাগত। কিন্তু, চৌকিদারজি (নরেন্দ্র মোদি) ২ কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি সেই চাকরি পেয়েছ?” একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদির ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাও। তাঁর কথায়, “নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে টাকা দেবেন। একজনও কি এমন আছে এখানে, যে সেই টাকা পেয়েছে?”
এরপরই নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, মোদি দেশের স্রেফ ১৫ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা দিয়েছেন। মেহুল চোকসি, নীরব মোদি, বিজয় মাল্যদের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নিয়েও সরব হন রাহুল।
এদিনের সভায় রাহুল ঘোষণা করেন, কংগ্রেস সরকারে এলে ২টি বাজেট পেশ করা হবে। তার মধ্যে একটি বাজেট পেশ করা হবে কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই। রাজস্থানের জনসভায় কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ন্যায় প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন রাহুল। তিনি বলেন, “ন্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৫ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিবছর ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর এই টাকা কোনও সত্ ব্যবসায়ী কিংবা মধ্যবিত্তের পকেট থেকে আসবে না।” সোমবারের সভা থেকে মোদিকে বার্তা দিয়ে রাহুল এও বলেন, “আপনি (নরেন্দ্র মোদি) চাইছেন, যে কৃষকরা ২০ হাজার টাকা কৃষিঋণ মেটাতে পারেনি তাদের জেলে ঢোকাবেন। যারা ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আপনি তাদেরকেও জেলে ঢোকাতে পারেন। যদি তাদের শাস্তি না হয়, জেলে না যেতে হয়, তাহলে কৃষকরাও জেলে যাবে না।”