শেষ দফায় ভোট, মতদানের উত্সাহে অধীর আগ্রহে ‘দেশের প্রবীন ভোটার’
১৯৫১ থেকে ২০১৯- কেন্দ্র, রাজ্যের সব ভোটেই নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেছেন জীবন দাস। সপ্তদশ লোকসভাতেও নিজের মতদানের বিষয়ে ভীষণ উত্সাহী তিনি।
জলন্ধর: বয়স ১০৩। নাম জীবন দাস। এই মুহূর্তে সম্ভবত তিনিই ভারতের প্রবীনতম ভোটার। হিমাচল প্রদেশের শ্যাম সরণ নেগির (১০২) থেকেও তিনি বছর খানেকের বড়। পঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা জীবন দাস দেশের প্রথম নির্বাচন থেকেই ভোট দিয়ে আসছেন। দীর্ঘ সাত দশকে পুরসভা হোক কিংবা বিধানসভা, অথবা লোকসভা ভোট, ত্রিস্তরীয় নির্বাচনেই নিজের মত জানিয়ে এসেছেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ২০১৯- কেন্দ্র, রাজ্যের সব ভোটেই নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেছেন জীবন দাস। সপ্তদশ লোকসভাতেও নিজের মতদানের বিষয়ে ভীষণ উত্সাহী তিনি।
পঞ্জাবে ভোট হবে ১৯ মে। শেষ দফার ভোটে এই রাজ্যের ১৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই ভোট হওয়ার কথা। পঞ্জাবের জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের এই ভোটার সেদিনও ভোট দিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
পিটিআই-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জীবন দাস জানিয়েছেন, “দেশে নির্বাচনী পক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবারই অংশগ্রহণ করেছি। পুরসভা নির্বাচনই হোক আর লোকসভা নির্বাচন, আমি সবসময়ই ভোট দিয়েছি। এবারও ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
তিনি আরও জানান, “আমি ৩৫ বছর বয়স থেকে ভোট দিই। তখন ভোট দেওয়ার মানে আমাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। শুধু এটাই মনে হয়েছে, অনেক লড়াই করে দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। ভোট আমাদের আরও একটু বাড়তি স্বাধীনতা দেবে।”
বিগত ৭ দশকে নির্বাচনের পক্রিয়াগত বদল হয়েছে। তবে একটা বিষয় একই থেকে গিয়েছে। মানুষ ভোট দেয় প্রধানমন্ত্রীর কথা ভেবে। সেটা সে সেময়ও ছিল এখনও তাই আছে। জীবন দাসের কথায়, “তখন মানুষ নিজের কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধিকে জেতাতেন কোনও একজনকে প্রধানমন্ত্রী দেখার জন্য। মানুষ তখন জহরলাল নেহেরুর কথা ভেবে ভোট দিয়েছে, এখন হয় নরেন্দ্র মোদি বা রাহুল গাঁধীর কথা মাথায় রেখে ভোট দেবে।”