Panchayat Election: হঠাৎ দুষ্কৃতীরা চড়াও! ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই মৃত্যু যুবকের
চিরঞ্জিৎ তাঁদের দলের কর্মী ছিল, পাল্টা দাবি দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের।
কোচবিহার: দিনহাটায় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু যুবকের। মৃতের নাম চিরঞ্জিৎ কার্জি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চিরঞ্জিৎ। ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, দাবি মৃতের মেয়ের। চিরঞ্জিৎ তাঁদের দলের কর্মী ছিল, পাল্টা দাবি দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের।
পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাপড়ায় তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে তৃণমূলপ্রার্থীর দেওরকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ। অন্য়দিকে, শনিবার মৃত্য়ু হল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আক্রান্ত সিপিএম কর্মীর।
এদিন ভোট পর্ব শুরু থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারে। মাথাভাঙাতেও চলে গুলি। মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের হাজরাহাটের ১২ নম্বর বুথের ঘটনা। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীর হাতে গুলি লাগে। বিজেপির পাল্টা দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলি চলে।
দিনহাটা ব্লকের শিবেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬১ নম্বর বুথের বাইরে মাস্কেট বাহিনীর দাপট। ভয়ে কাঁটা ভোটাররা। বাধা দিতে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মনিরুল হকের মাথা ফাটে। পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লেগে আহত হন এক তৃণমূল কর্মী। দিনহাটার ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট ফলিমারিতেও গুলিবিদ্ধ হন ভোটার। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযো উঠেছে। ভোটার শহিদুল মিয়ার পায়ে গুলি লাগে। তিনি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
নাটাবাড়ির জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মাঠের মধ্যে ব্যালট বাক্স। ডহরের পাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭৯ নম্বর বুথে ব্যালট পেপার লুঠ করে জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন একজন মাত্র মহিলা পুলিশ কর্মী। ঘটনার পর তিনি আতঙ্কিত। পাশেই চাতরা চেগারডারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮০ নম্বর বুথেও একই ঘটনা। সেখানেও ব্যালট বক্স ভেঙে মাঠে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঘুঘুমারি এলাকার নিউ গীতালদহে ১৮৮ নম্বর বুথের বাইরে চলল গুলি। বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী রেজাউল করিমের হাতে গুলি লাগে। অসহায় প্রিসাইডিং অফিসারকে ঘিরে ধরেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। ভয়ে কেঁদে ফেলেন প্রিসাইডিং অফিসার। গুলি চলার পর ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন ভোটাররা।