Panchayat Election 2023: বোমা উদ্ধার নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার মর্মান্তিক ঘটনা মুর্শিদাবাদে
Murshidabad violence: পঞ্চায়েত ভোটের আগের ফের ভয়াবহ ঘটনা মুর্শিদাবাদে, কী ঘটেছে বেলডাঙা ২ ব্লকের সোমপাড়া পঞ্চায়েতের ঘোল্লা এলাকায় ?
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগের ফের ভয়াবহ ঘটনা মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। বেলডাঙা ২ ব্লকের সোমপাড়া পঞ্চায়েতের ঘোল্লা এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম ২ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সালারের সরমন্তপুর এলাকার বাসিন্দা জামিরুল সেখ ও শেরফুল সেখ নামে দুই ব্যাক্তি মঙ্গলবার রাতে বোম বাঁধতে এসেছিল শক্তিপুর থানার কোরাল পুকুর এলাকায়। তখনই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন। সেই অবস্থায় পালানোর সময় স্থানীয়রা তাঁদের ধরে ফেলে এবং পুলিশকে খবর দেয়। শক্তিপুর থানার পুলিশ আহত অবস্থায় দুজনকে প্রথমে শক্তিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন আহতরা।
প্রশ্ন উঠেছে, যেভাবে প্রতিদিন জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাশাপাশি বোমাবাজিও, ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে এই অশান্তি ? তবে প্রতিটি ঘটনায় রাজনৈতিক যোগসূত্র না থাকলেও, যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট,তাই মর্মান্তিক ঘটনাগুলির পর ঘুরেফিরে ওই প্রসঙ্গ এসেই যাচ্ছে। যখন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি, তার অনেক আগেও এবছর অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে একাধিকবা বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বারবার বোমস্কোয়াড গিয়ে বোমা করেছে। কিন্তু যেগুলি ধরা পড়েনি, তা নিয়ে ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে।
কিন্তু রাজ্যে এত বোমা-বারুদ আসছে কোথা থেকে ? এই প্রশ্নের উত্তরে জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বহু আগেই যোগী রাজ্যকে বারবার নিশানা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর ভুরিভুরি আগ্নেয়াস্ত্রও ধরা পড়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের একেবারে দোরগড়ায় এখনও অব্যহত হিংসা। তাই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তা সে বোমাবাজি হোক, কিংবা বাজি কারখানার ইস্যু হোক, বারবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের বুকে। আর সম্প্রতি একের পর এক বাজি কারখানাতেও পুলিশি অভিযান চলে। অসংখ্য অবৈধ কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আচমকা এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায়, রুজিরুটি বন্ধে চাপের মুখে পড়ে অবৈধ কারখানার শ্রমিকেরা। আর এমনই এক সংযোগস্থলে, 'রাঘববোয়ালরা ধরা পড়ল কি?', বারবার প্রশ্ন রেখে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।