Panchayat Election: তৃণমূলের 'ভয়', প্রচার সারতে ডাকঘরে যাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী! কেন?
BJP: বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বেছে নিয়েছে প্রচারের অভিনব পদ্ধতি
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজ্য়ের নানা জেলা থেকে বারবার ভোট-হিংসার অভিযোগ উঠছে। কখনও প্রচার ঘিরে মারপিট, কখনও আবার পোস্টার সাঁটা বা দেওয়াল লিখন ঘিরে যুযুধান পক্ষের বচসার ঘটনা সামনে আসছে। বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনা ঘটছে আখছার। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারের জন্য অভিনব পদ্ধতির উপরেই ভরসা বিজেপি প্রার্থীর। তৃণমূলের ভয়ে প্রচারে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ, তার বদলে চিঠি পাঠিয়ে ভোট আবেদন ওই প্রার্থীর। এমনই ঘটনা ঘটছে বীরভূমে। ওই জেলায় দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
চিঠি পাঠানোর যুগ বহু আগেই চলে গিয়েছে। সরকারি কিছু কাজ ছাড়া চিঠি চালাচালির কাজ প্রায় নেই। নিজের বার্তা পাঠাতে মেসেজও এখন পুরনো। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যার আর ইমেল-এর উপরেই ভরসা সবার। এই যুগে দাঁড়িয়ে পুরনো পদ্ধতিতেই ভরসা রাখছেন বিজেপি প্রার্থী।
রঙিন খামে যত্ন করে লেখা নাম আর নিজের দু'কথা। এমন রাস্তাই বেছে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রতনকুমার আচার্য। বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ নম্বর আসনের পদ্ম শিবিরের হয়ে লড়াই করছেন তিনি। কিন্তু এই পদক্ষেপ কেন? তাঁর অভিযোগ, মনোনয়ন পর্ব থেকেই গ্রামে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। তাই চিঠি লিখে ভোট প্রচারের উদ্যোগ। পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে না গিয়ে নিয়ম করে ডাকঘরে যাচ্ছেন তিনি। খামের মধ্যে চিঠি ছাড়াও থাকছে নমুনা ব্যালট।
আর এতে চমকেছেন ভোটাররাও। মাইক-ব্যান্ডপার্টি, স্লোগানের জগঝম্প ছাড়া এই ভোট প্রচার- নেহাত প্রচার হিসেবে যে তাঁদের নজর কেড়েছে তা জানাচ্ছে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।
হেতমপুরের ভোট-ছবি:
হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি ১০টি আসনে লড়াই হবে।
বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ওই এলাকার তৃণমূল প্রার্থীর কটাক্ষ, বিজেপি হারবে জেনেই এই কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
বারবার বোমা-উদ্ধার:
অনুব্রতর গড়ে ভোটের আবহে বারবার বোমা উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। জুনে আমোদপুর গ্রামে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ৮ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই শান্তিনিকেতনের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাগড় গ্রামে মেলে ৬১টি তাজা বোমা। প্রায় পরপরই নানুর, খয়রাশোল থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। জুলাই মাসে বীরভূমের দুবরাজপুরে ক্লাস চলাকালীন প্রাইমারি স্কুলের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি তাজা বোমা।
আরও পড়ুন: চোর-ডাকাত-ধান্দাবাজদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, নিজের দলের বিরুদ্ধেই ফের সরব বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন