Panchayat Election : সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে কোন অনুপাতে ব্যবহার ? খতিয়ে দেখতে নির্দেশ হাইকোর্টের
Central Force : কেন্দ্রের দাবি, 'রাজ্য নিজে থেকে প্রায় ৭০০০০ হাজার পুলিশ দেবে, আর কেন্দ্র থেকে আসছে ৬৫০০০ হাজার। প্রায় ১৩৫০০০ হাজার বাহিনী আছে। ৫০ শতাংশের অনুপাতে এগোলেই পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব।
কলকাতা : কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) আসা নিয়ে জটিলতা কেটেছে। এবার যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গ্রাম বাংলার ভোটাররা, তা হল একদফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) প্রত্যেক বুথে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ? ভোটে তাদের উপস্থিতি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রত্যেক বুথে থাকা নিশ্চিত করতে ফের সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ কি অনুপাতে ব্যবহার করলে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব ?' খতিয়ে দেখতে নোডাল অফিসার, আইজি, বিএসএফ-কে নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির।
আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা-সংক্রান্ত মামলা নিয়ে শুনানির মাঝে বাহিনী প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যুক্তি 'রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী আসছে, প্রতি কোম্পানিতে ৮০ জন কার্যকরী জওয়ান থাকবে ধরে নিলে সংখ্যাটা প্রায় ৬৫০০০ হাজার হয়'। যে প্রসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বুথে হাফ-সেকশন বা ৪ জন করে জওয়ান মোতায়েন করা হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মাত্র ১৫০০০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব'। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ৬৩ হাজারেরও বেশি বুথে।
যে প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের দাবি, 'রাজ্য নিজে থেকে প্রায় ৭০০০০ হাজার পুলিশ দেবে, আর কেন্দ্র থেকে আসছে ৬৫০০০ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ১৩৫০০০ হাজার বাহিনী আছে, ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী আর ৫০ শতাংশ রাজ্য পুলিশ থাকলে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। যারপরই অনুপাতের দিকটি মাথায় রেখে আইজি- বিএসএফ-কে কেন্দ্রের প্রস্তাবও খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। প্রত্যেক বুথে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়, সেটা মাথায় রেখেই ভাবনার নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, গতকাল, সোমবার অর্থাৎ ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, রাজ্যে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। সঙ্গে এও জানানো হয়, যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হবে। বাহিনী-বিতর্ক এবার পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া থেকেই শিরোনামে। একপ্রস্ত আইনি টানাপড়েনের পর গত মঙ্গলবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তারা পাঠাচ্ছে। কোথায় কোন বাহিনীর কত জওয়ান থাকবেন তাও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য়ে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রায় ৭৪ হাজার আসনে ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথে ৮ জুলাই নির্বাচন হবে।
২২ জেলাতেই CRPF, BSF, CISF মিলিয়ে মিশিয়ে মোতায়েন করা হবে। সেই অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ জেলায় CRPF, ৬ জেলায় CISF ও ৯টি জেলায় BSF-কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটের মাত্র চার দিন আগে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে এই বৈঠক বাস্তব উদ্দেশ্য কতটা পূরণ করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। তার উপর যে ভাবে, হিংসা-অশান্তির ধারা জারি রয়েছে তাতে সেই সংশয় আরও জোরাল হয়েছে। তবে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মালব্য অবশ্য জানিয়েছেন, সার্বিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাঁর কথায়, 'কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভোট ছাড়াও এসব ঘটনা ঘটে।'
আরও পড়ুন- ছুটি বাতিল, পঞ্চায়েতের জন্য হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন