Panchayat Poll 2023 : বাঁকুড়ায় বিরাট দলবদল, শতাধিক তৃণমূল কর্মী গেলেন বিজেপিতে
গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত। চৈতন্যপুর গ্রামে ঘাসফুল শিবিরের শতাধিক কর্মী গতকাল নাম লেখালেন পদ্ম শিবিরে।
প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayat Poll ) মুখে জেলায় জেলায় দলবদল হয়েই চলেছে।
বাঁকুড়ার ( Bankura ) গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত। নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর গ্রামে ঘাসফুল শিবিরের শতাধিক কর্মী গতকাল নাম লেখালেন পদ্ম শিবিরে।
তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন দলত্যাগীরা। বিজেপির কটাক্ষ, এভাবেই তৃণমূল দলটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।
তৃণমূল শিবিরে থেকে কংগ্রেসে সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা
প্রথমবার নয়। এর আগেও বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন ধরেছে। কংগ্রেসে যোগ দেন শাসকদলের সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা গগন ঘটক ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন গগনের স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক। দলবদল করেছেন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের এই নেতাও। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই তৃণমূলের সঙ্গ-ত্যাগ। আগামী দিনে আরও অনেকে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি। যদিও ঘাসফুল শিবিরের দাবি, গগন সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, ফলে তাঁর দলত্যাগে সংগঠনের ক্ষতি হবে না !
অন্যান্য জেলাতেও হিড়িক দলবদলের
শুধু বাঁকুড়াতেই নয়, দলবদলের হিড়িক লেগেছে বিভিন্ন এলাকায়। গত সপ্তাহে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে দল ছাড়েন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবি, ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সম্পাদক আশরাফুল হক-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিক্রি করছেন তৃণমূল বিধায়কে ! তবে অন্য দলে যোগদান নয়, নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলত্যাগীরা। তাঁদের অভিযোগ, টিকিট দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন। সেই দুর্নীতির প্রতিবাদেই দলত্য়াগ বলে দাবি বিক্ষুব্ধদের।
ওই একই দিনে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলে ভাঙন ধরে। বকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে বুথ সভাপতি ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা-সহ ৪০০ জন যোগ দেন সিপিএমে। যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত ভাওয়াল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অঞ্জু কর-সহ বাম নেতৃত্ব।দুর্নীতির প্রতিবাদেই দলত্যাগ করেছেন , দাবি তৃণমূলত্যাগীদের। একজন-দু’জন যেতে পারে, ৪০০ জনের সিপিএমে যোগদানের দাবি অবাস্তব, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতৃত্বের।
এছাড়াও খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলে ভাঙনের খবর পাওয়া গিয়েছে । কালিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুর গ্রামে সিপিএমে যোগ দেয় ৬৫টি পরিবার। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি। তৃণমূলত্যাগীদের দাবি, তৃণমূল গরিবদের বঞ্চিত করছে, তাই গরিবদের পাশে দাঁড়াতে সিপিএমে যোগদান।