WB Elections Modi At Haldia Live Updates: 'তৃণমূল অনেক ফাউল করেছে, বাংলা তাদের রামকার্ড দেখাবে, হলদিয়ায় মোদি
WB Elections Modi In Bengal: ‘এবার তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস একসঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করছে’, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
LIVE
Background
কলকাতা : আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হলদিয়ায় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এর পাশাপাশি, হলদিয়াতেই একটি রাজনৈতিক সভাও করবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দফতরের তরফে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মদিবসে, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠার প্রতিবাদে বক্তৃতা দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি ভোটমুখী বাংলায় নানা বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত চলছে! তাই কি রবিবারের সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী? এমন জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। উল্টোদিকে, হলদিয়ায় পেট্রোলিয়ামন্ত্রকের অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী!
সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চান দিব্যেন্দু। ১০ ফেব্রুয়ারি সেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।সেদিন, তিনি সাংসদ পদ ছাড়তে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে।এদিকে, বিধানসভা ভোটের মুখে বঙ্গ সফরের আগে শনিবার বাংলায় ট্যুইট করেন নরেন্দ্র মোদি!
ট্যুইটে তাঁর বার্তা, রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী,রবিবার দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে তাঁর বিমান।সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ৩টে ৫০-এ হলদিয়ায় পৌঁছবেন মোদি।বিকেল ৪টেয় হলদিয়ার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজনৈতিক সভায় অংশ নেবেন। এরপর বিকেল ৪টে ৫০-এ সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই অনুষ্ঠানেই বিপিসিএলের এলপিজি টার্মিনাল। ধোবি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাসলাইনের উদ্বোধন করবেন মোদি।
হলদিয়ার রানিচকে একটি রেল ওভারব্রিজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।রবিবার সন্ধে ৬টা ২০-তে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন নরেন্দ্র মোদি।
গতকালই নবদ্বীপে বিজেপি রথযাত্রা কর্মসূচীর সূচনা করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেও বঙ্গ সফরে এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। ডিসেম্বরে ডায়মন্ডহারবারে জনসভায় যাওয়ার পথে তাঁর কনভয় আক্রান্ত হয়েছিল। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র রাজনৈতিক তরজা। গত জানুয়ারি মাসে নাড্ডার গন্তব্য ছিল বীরভূমে। সেখানেও ডায়মন্ডহারবারের মতোই জনসভা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি বীরভূম কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজও করেছিলেন নাড্ডা।
‘এবার হবেই বাংলায় পরিবর্তন। তৃণমূলের লুকিয়ে থাকা বন্ধুদের থেকে সাবধান। এবার তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস একসঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করছে। কেরলে কংগ্রেস-বামের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। পর্দার পিছনে যে খেলা চলছে, সেখান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘পিসি-ভাইপোকে উৎখাত করতে বাংলার মানুষ মনস্থির করেছে। টিএমসির তোলাবাজ, সিন্ডিকেট আর কিছুদিন থাকবে। নিশ্চয় সংবিধান মেনে চলবে বাংলার প্রশাসন।’
‘তৃণমূল পরপর অনেক ফাউল করেছে। বিরোধীদের আক্রমণ, টাকা লুঠ, বাংলায় মানুষ সব দেখছে। খুব দ্রুত বাংলা তৃণমূলকে রামকার্ড দেখাবে।’
‘ত্রিপুরাতেও বাম শাসনে কোনও উন্নতি হয়নি। বিজেপি সরকার আসার পর ত্রিপুরায় প্রভূত উন্নতি। কেন্দ্রের এক দেশ এক রেশন কার্ডের সুবিধা মেলেনি। সপ্তম বেতন কমিশন অন্য রাজ্যে চালু হলেও বাংলায় হয়নি। বাংলার সরকার কর্মচারীদের সময়মতো মাইনে দিতে পারে না।’
‘বাংলার মানুষ উন্নতিতে সবসময় সচেষ্ট কেন্দ্র। হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, রেল, বিমান, পোর্ট, ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সচেষ্ট কেন্দ্র। পিএম আবাস যোজনায় বহু মানুষ বাড়ি তৈরি করতে পেরেছে। বাংলার উন্নয়নের গতি আনতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। যখন আসল পরিবর্তন আসবে, তখন দুর্নীতিমুক্ত বাংলা হবে।