West Bengal Lok Sabha Election 2024:ইংরেজবাজারের বুথ থেকে মহিলা এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বচসা শ্রীরূপার
Malda Dakshin:ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়া শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯১ নম্বর বুথে দলীয় মহিলা এজেন্টকে বার করে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, মালদা: তৃতীয় দফার ভোট শুরু হতেই অশান্তির নানা অভিযোগ মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে (Malda Dakshin Constituency)। যেমন, ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়া শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯১ নম্বর বুথে দলীয় মহিলা এজেন্টকে বার করে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ালেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (BJP Candidate Sreerupa Mitra Chaudhury Hot Exchange With Police)। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপি প্রার্থীর আরও দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। অবশেষে এজেন্টকে বুথে ফেরান শ্রীরূপা।
বিশদ...
এখানেই অবশ্য অভিযোগের ইতি হয়নি। শ্রীরূপার দাবি, ওই বুথে যিনি রাজ্য পুলিশের কর্মী রয়েছেন, তিনি নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে ভোট পরিচালনা করছেন। মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য়, রাজ্য পুলিশের কর্মীর দায়িত্ব, ভোটের লাইন ঠিক করা। কিন্তু তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ শ্রীরূপার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, 'আমাদের মহিলা এজেন্ট, সন্ধ্যা রায়কে প্রথমে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানে কোনও মহিলা পুলিশও নেই। এই অভিযোগ পাওয়ার পর আমি এখানে এসে তাঁকে ভিতরে বসিয়ে দিয়ে এসেছি।' তাঁর কথায়, 'এর থেকেও বেশি চিন্তার বিষয় হল, একজন উর্দিধারী রাজ্য পুলিশের কর্মী দেখলাম। তিনি এখানে দাঁড়িয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন। ভোটাররা যে রাস্তা দিয়ে যাবেন, সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন।' সব মিলিয়ে ভোটশুরুর প্রথম এক ঘণ্টা বেশ গণ্ডগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়।
আর যা...
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। যেমন, মানিকচকের হিলসামারি শঙ্করটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকক্ষের বাইরে রাজ্য পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে শোনা যায়। অন্য় দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাইন সামলাচ্ছে বলে খবর। তবে পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই পাল্টে যায় অবস্থান। ভোটকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। লাইন ঠিক করতে শুরু করে পুলিশ। সামশেরগঞ্জে বুথের বাইরে আবার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই লাঠিধারী তৃণমূল কর্মী ছিল বলে অভিযোগ। 'ভোট কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হওয়া বাচ্চাদের সামলাচ্ছি', সাফাই ছিল তাঁদের। পরে ইংরেজবাজারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিশনঘাট এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। উনি বুথে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন, পাল্টা দাবি করেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। অভিযোগ পেয়ে ওই ওয়ার্ডে যায় QRT।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:অমেঠিতে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠকে টিকিট কংগ্রেসের, কে এই কে এল শর্মা ?