ছোটবেলায় মাঠে ফুটবল খেলতাম, এখন ছোটরা অবসরেও অনলাইন ক্লাস করছে: দেব
লকডাউনে কোন মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শিশুরা? কতটা উপভোগ করছে অনলাইন ক্লাস? বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের নিয়ে দেবের গলায় ফুটে উঠল চিন্তা।
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে তামাম বিশ্বের জীবনযাত্রা। মাস্কের আড়ালে মুখ ঢেকে কেবলমাত্র প্রয়োজনেই রাস্তায় বেরোচ্ছেন মানুষ। প্রায় ২ বছর ধরে কার্যত গৃহবন্দি শিশুরাও। বন্ধ স্কুল। লকডাউনে কোন মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শিশুরা? কতটা উপভোগ করছে অনলাইন ক্লাস? বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের নিয়ে সাংসদ অভিনেতা দেবের গলায় ফুটে উঠল চিন্তা।
স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ডান্স ডান্স জুনিয়ার শো-এর বিচারকের ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন দেব। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এবিপি লাইভের তরফ থেকে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, নাচের মঞ্চে সেরার শিরোপার জন্য ছোটদের লড়াই দেখে নিজের ছোটবেলার লড়াই মনে পড়ে কি না? সেই সঙ্গে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ছোটবেলায় কোনও ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চ পেলে ইন্ডাস্ট্রি কী আরও আগে দেবকে পেত? উত্তরে দেব বলেন, 'মাঝেমধ্যে মনে হয়। তবে এখনকার বাচ্চাদের লড়াইটা অন্যরকম। আমাদের সময় জীবনধারা অন্যরকম ছিল। আমরা স্কুল থেকে ফিরে মাঠে ফুটবল খেলতে যেতাম। টিউশানে সবার সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করতে যেতাম। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিশুরা এই স্বাভাবিক জীবনটাই ভুলতে বসেছে। এটা ওদের কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ। ছোটবা এখন বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করছে। আর দুটো ক্লাসের মধ্যে একটু ফাঁক থাকলে আবার সেখানে আরও একটা অন্য কোনও অনলাইন ক্লাসে বসিয়ে দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা। বাচ্চাদের জন্য এটা বেশ ক্লান্তিকর। ওদের লড়াইটা দেখলে নিজের জীবনের লড়াইগুলো খুব ছোট বলে মনে হয়।'
আপাতত নতুন ছবি 'কিশমিশ'-এর শ্যুটিং-এ ব্যস্ত দেব। রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন দেব। আর তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। পরিচালক জানিয়েছেন, এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ২ডি কার্টুন। ছবির ৭০ শতাংশ শ্যুট করা হবে আর বাকি ৩০ শতাংশ করা হবে এই ২ডি কার্টুনে। ছবির কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কাজ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। অবশেষে ফ্লোরে জোরকদমে চলছে 'কিশমিশ' -এর কাজ।