'ক্ষমতার জন্য যোগদান করিনি, রাজনীতির সাহায্যে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই', বলছেন নীল-তৃণা
পথের কুকুরদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে কম্বল বিতরণ, রক্তদান শিবির, সবকিছুরই আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। নীল ভট্টাচার্য্য (Neel Bhattacharyya) ও তৃণা সাহা (Trina Saha)।
কলকাতা: দুজনেই ছোটপর্দার ব্যস্ত তারকা। দুই প্রথম সারির চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের প্রধান মুখ তাঁরা। একসঙ্গে ছুটি প্রায় মেলেই না। তাই প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাত্রে একসঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন তাঁরা। পথের কুকুরদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে কম্বল বিতরণ, রক্তদান শিবির, সবকিছুরই আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। নীল ভট্টাচার্য্য (Neel Bhattacharyya) ও তৃণা সাহা (Trina Saha)।
এই কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ কার? এবিপি লাইভকে নীল বললেন, 'তৃণার অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা করছিল কিছু একটা আয়োজন করতে। কোভিডের সময় ওর এক মামা রক্তের অভাবে মারা যান। খুব অল্প বয়স ছিল ওনার। মামার মৃত্যুটা তৃণাকে খুব ছুঁয়ে গিয়েছিল। সেইজন্যই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর তৃণা যা চায়, সবসময় তো আমি ওর পাশে আছিই।'
কেবল রক্তদান শিবির নয়, ২৫ তারিখ রাস্তার কুকুরদের খাবার আয়োজনও করেছিলেন নীল-তৃণা। অভিনেতা বললেন, 'আমি রাস্তার বেড়াল,কুকুরদের খাওয়াতে ভালোবাসি। প্রায় প্রতিদিনই খাওয়াই। গতকাল রাতে একটু বড় করে করলাম। গড়িয়াহাট মোড় থেকে শুরু করে রুবি পর্যন্ত রাস্তার কুকুরদের খাইয়েছি। সেইসঙ্গে গড়িয়াহাট মোড়ে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ওখানে প্রচুর মানুষ থাকেন। ঠাণ্ডায় কুঁকড়ে শুয়ে থাকেন। ওনাদের জন্য কম্বল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কাকে চুম্বন সাঁঝবাতির, বলছেন, 'সোচ বদলো সচ নেহি'
সব মিলিয়ে কেমন সহযোগীতা পেলেন? নীল বলছেন, 'অনেক মানুষ নিজে থেকেই এসে রক্তদান করে গিয়েছেন। এইসব কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম বা অনুমতির প্রয়োজন হয়। সুশান্তদা এই বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। কার কাছ থেকে রক্ত নেওয়া যাবে বা কার কম্বলের প্রয়োজন সেটা জানেন ওরাই। আমরা কখনও রাজনীতিতে ক্ষমতার লোভে আসিনি। কিন্তু কিছু মানুষের সঙ্গে বেশি চেনা জানা থাকলে তাদের সাহায্যে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যায়। আমরা রাজনীতির সাহায্য নিয়ে নিজেদের উদ্যোগে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে চাই, তাঁদের সঙ্গে থাকতে চাই। আমরা কোনও দলের সমর্থক বলে আমাদের প্রত্যেক কাজেই রাজনীতির রঙ থাকে এমন নয়।'
ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের পাশে পেয়েছেন? নীল বলছেন, 'যাঁরা জানেন তাঁরা সবাই এগিয়ে এসেছেন। নিজেদের মত করে সাহায্য করেছেন। তবে সবাই কাজে ব্যস্ত থাকে। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা আসতে পারেন না সবসময়। তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অনেকেই।'