পুরুলিয়ায় 'প্রজাপতি' খুঁজতে নতুন নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ঋতব্রত
জের প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি 'বাম্পার'-এর কাজ করেছিলেন সুব্রত সেনের থেকে ক্যামেরা নিয়ে। তাঁর ছবিতেই অভিনেতা ঋতব্রত।
কলকাতা: নতুন ছবির কাজ শেষ করে কলকাতা ফিরছিলেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobroto Mukherjee)। সমরেশ বসুর (Samaresh Majumdar) কাহিনী অবলম্বনে 'প্রজাপতি' ছবির শ্যুটিং শেষ করলেন আজই। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত সেন (Subrata Sen)। পুরুলিয়া থেকে ফেরার পথে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে শ্যুটিংয়ের গল্প শোনালেন ঋতব্রত।
নিজের প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি 'বাম্পার'-এর কাজ করেছিলেন সুব্রত সেনের থেকে ক্যামেরা নিয়ে। ঋতব্রত বলছেন, 'সুব্রতদা অনেকদিন পরে একটা ছবি করলেন। সেই টিমটায় সামিল হতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। শুধু তাই নয়, আমার ছোটবেলার বন্ধু কৌশিকও অভিনয় করেছে ছবিতে। টিমটা আমার খুব চেনা তাই কাজ করে ভীষণ ভালো লাগল।'
সমরেশ বসুর কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'প্রজাপতি'। গল্পের মূল চরিত্র সুখেনের পর্দার নাম 'টুকু'। ঋতব্রত বলছেন, 'এখানে টুকুর জীবনের বিভিন্ন ধাপ দেখানো হয়েছে। একজন পড়াশোনা জানা ছেলে কী করে একজন মস্তান হয়ে গেল সেই গল্পই বলবে 'প্রজাপতি'। আমি টুকুর জীবনের একটা অধ্যায়ে অভিনয় করেছি। আমার বিপরীতে রয়েছে শ্রীতমা, শ্রীতমা দে। 'ধানবাদ ব্লুজ'-এ ওকে কাজ করতে দেখেছি। এই প্রথমবার ওর সঙ্গে পর্দায় জুটি হিসেবে কাজ করলাম। খুব ফোকাসড আর মন দিয়ে কাজ করে ও।'
চরিত্রের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছিলেন ঋতব্রত? অভিনেতা বলছেন, ' আমাদের সুব্রতদা উপন্যাসটা পড়তে বারণ করেছিলেন। কারণ চিত্রনাট্যের খাতিরে গল্প কিছুটা বদলে ফেলতে হয়। আমি সেটাই করেছিলাম। তবে এই চরিত্রটা একদম অন্যরকম। এমন মস্তানের চরিত্র আমি আগে করিনি।'
শ্যুটিংয়ে বন্ধুরা হাজির, চেনা দল, কতটা মজা করে কাজ করলেন ঋতব্রত? হাসতে হাসতে অভিনেতা বললেন, 'শ্যুটিংয়ে যথারীতি লোক জমায়েত হত। আমাদের প্রশ্ন করত, এটা কীসের শ্যুটিং চলছে? আমরা হাসতে হাসতে বলতাম, এটা প্রজাপতিকে নিয়ে একটা সিরিয়ালের গল্প। আর আমরা সবাই প্রজাপতি ধরি।'