Rashmika Mandanna: রশ্মিকা মান্দান্নার 'ডিপফেক' ভিডিওর 'স্রষ্টা'কে হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিশ
Deepfake Video: এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এক সাংবাদিক প্রথম উল্লেখ করেন যে ভিডিওটি ফেক বা ভুয়ো। এরপর উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী নিজেও। গোটা ঘটনায় তিনি বলেন, এটি 'অত্যন্ত ভয়াবহ'।
নয়াদিল্লি: গতবছর রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) মুখ নিয়ে তৈরি 'ডিপফেক' ভিডিও (Deepfake Video) নিয়ে তোলপাড় হয় বিনোদন দুনিয়া। শুরু হয় তদন্ত। এবার জানা যাচ্ছে যে ব্যক্তি এই কারচুপির পিছনে ছিল তাকে দিল্লি পুলিশ নিজেদের হেফাজতে (police custody) নিয়েছে আজ। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে দেখা যায় অন্য একটি মহিলার মুখে রশ্মিকার মুখ বসানো।
রশ্মিকা মান্দানার 'ডিপফেক' ভিডিওর পিছনে কে? গ্রেফতার ১
আসল ভিডিও যেখান থেকে 'ডিপফেক' ফুটেজ তৈরি হয়, সেখানে দেখা যায় ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেল একটি কালো পোশাক পরে দৌড়ে লিফটে উঠতে দেখা যায়। 'ডিপফেক' প্রযুক্তির সাহায্যে জারার মুখের বদলে সেখানে ব্যবহার করা হয় রশ্মিকা মান্দানার মুখ। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এক সাংবাদিক প্রথম উল্লেখ করেন যে ভিডিওটি ফেক বা ভুয়ো। এরপর উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী নিজেও। গোটা ঘটনায় তিনি বলেন, এটি 'অত্যন্ত ভয়াবহ'। তিনি আরও বলেন, 'এই ধরনের যে কোনও কিছু সত্যি বলতে অত্যন্ত ভয়াবহ, কেবলমাত্র আমার ক্ষেত্রে নয়, বরং সকলের জন্য কারণ এখন ভীষণভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হয়।' কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাম্প্রতিক বিবৃতি অনুসারে, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি তাদের প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ভুল তথ্য সনাক্ত করতে এবং অপসারণ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পেয়েছে।
গত ডিসেম্বর মাসে খোঁজ পাওয়া যায়, রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে। সেই মূল অভিযুক্তকেই এবার নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: Main Atal Hoon: ঢিমেতালে খাতা খুলল 'ম্যায় অটল হুঁ', প্রথম দিনে কত আয়
ঠিক কী ঘটেছিল?
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন 'পুষ্পা' অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই 'ডিপফেক'-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু 'ডিপফেক' প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। 'ডিপফেক'-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।