Feluda Indraneil Exclusive: রায়বাড়ির বিখ্যাত চপ, হামেশাই মেনুতে থাকে পেস্ট্রি, মিষ্টি, দই বড়া.. 'ফেলুদা'-র শ্যুটিংয়ের অন্য গল্প শোনালেন ইন্দ্রনীল
Sandip Roy Feluda: ব্রিটিশ আমলের পুরনো ফ্ল্যাটের বারন্দায় বসে সাক্ষাৎকার চলছিল। যে ব্যালকনি দিয়ে হেঁটে তিনি প্রথম গিয়েছিলেন ফেলুদা হওয়ার জন্য কথা বলতে, সেখানে একটি চেয়ারে বসে তিনি বললেন...
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: তিনি প্রথম এই বাড়িতে যখন এসেছিলেন, তখনও কথার মধ্যে টান ছিল অন্য ভাষার। বাংলা কথার মধ্যেও দেদার ইংরাজি শব্দ ব্যবহার, সামান্য ভাঙা ভাঙাও। তবুও ইচ্ছা, ফেলুদা হবেন। বাঙালি হলেও প্রবাসী সেই অভিনেতাকে প্রথমটা মনেই ধরেনি সন্দীপ রায়ের (Sandip Roy)। তারপরেও পর্দায় ফেলুদা এসেছে, সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু তাঁর নিয়তিতেও বোধহয় লেখা ছিল ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করা। নাহলে, আবার দীর্ঘ কয়েক বছর পরে তিনি রায়বাড়িতে কেনই বা আসবেন, আর কেনই বা তাঁর বাংলার উন্নতি দেখে মনে ধরবে সন্দীপ রায়ের? হত্যাপুরী পেরিয়ে এবার নয়ন রহস্য... রায় বাড়িতে তাঁর যাতায়াত বেড়েছে, বৈঠক বেড়েছে, আর শুরু হয়েছে ক্যামেরার সামনে ফেলুদার অভিনয়। রায়বাড়ির সংস্পর্শে থাকার সেই অভিজ্ঞতাই এবিপি লাইভকে (ABP Live) শোনালেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneil Sengupta)।
ব্রিটিশ আমলের পুরনো ফ্ল্যাটের বারন্দায় বসে সাক্ষাৎকার চলছিল। যে ব্যালকনি দিয়ে হেঁটে তিনি প্রথম গিয়েছিলেন ফেলুদা হওয়ার জন্য কথা বলতে, সেখানে একটি চেয়ারে বসে তিনি বললেন, 'এই সফরটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। এখনও মনে আছে সেই দিনটা, যেদিন বাবুদার সঙ্গে প্রথম কথা বলতে এসেছিলাম। তখন শুনেছিলাম বেণুদা (সব্যসাচী চক্রবর্তী) আর ফেলুদা করবেন না, একটা তো নতুন ফেলুদা দরকার। আমার কথা যেন উনি মনে রাখেন। সালটা বোধহয় ২০১৫-১৬। অবশেষে ২০২১ সালে ফেলুদা হতে পারলাম। এর মধ্যে অনেকবার এই বাড়িটায় আসা হয়েছে। সত্যজিৎ রায় যে ঘরে বসতেন, সেখানে বসে কথা হয়েছে, চা খাওয়া হয়েছে। অস্কারটাও দেখেছি। এই বাড়িতে পা রাখা, সময় কাটানো, এই বাড়ির খাবার.... সবসময়েই ভাল ভাল খেতে দেয় কিছু (হাসি)।
ফিটনেস ফ্রিক ইন্দ্রনীলের মুখে খাবারের কথা! রায়বাড়ির কোন খাবারে মুগ্ধ অভিনেতা? ইন্দ্রনীল বলছেন, 'আমি কিন্তু খেতে খুব ভালবাসি। আর শ্যুটিংয়ের সময় তো গোটা খাবারের দায়িত্বই থাকে বুনিদির (ললিতা রায়) ওপর। আমরা অপেক্ষা করে থাকি, আজ কী মেনু হবে, কী মিষ্টি আসবে.. কী মাছ হবে.. সব। মনে আছে, প্রথমবার এখান থেকে ফেরার পরে সবাই প্রশ্ন করেছিল, রায়বাড়ির চপ খেয়েছিস? আমি বলেছিলাম, না। পরেরবার এসেই বুনিদিকে বলেছিলাম 'রায়বাড়ির কোন বিখ্যাত চপ আমায় খাওয়াওনি? চিজ়ের একটা আইটেম খাওয়ালে'। তখন আমায় সেই চপ দেওয়া হল। দই বড়া, পেস্ট্রি, মিষ্টি থেকে শুরু করে চিকেন স্যান্ডুইচ, আইসক্রিম, চা-কফি, ডাবের জল... প্রচুর কিছু। চার-পাঁচ ঘণ্টা এখানে থাকলে খাবার ৩-৪টে কোর্স হয়ে যায়।'