Jacqueline on ED: 'আমার ক্ষতি অর্থ দিয়ে মাপা যাবে না', ইডি-র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
Jacqueline Fernandez: তাঁর বক্তব্য, নোরা ফতেহি সহ আরও একাধিক তারকা মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে উপহার পেয়েছেন যাঁদের সাক্ষী করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে এখানে অভিযুক্ত হিসেবে টেনে আনা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট'-এর কর্তৃপক্ষ অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) বেশ কয়েকটি স্থায়ী আমানত (এফডি) (Fixed Deposit) বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে অভিনেত্রী সেখানে তাঁর উত্তরে আবারও জানিয়েছেন যে এই এফডিগুলি তাঁর 'নিজস্ব বৈধ আয়' থেকে এসেছে এবং সুকেশের সঙ্গে এই বিষয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর দাবি এই সমস্ত আমানত 'কনম্যান' সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar) আসার অনেক আগেই হয়েছিল। সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে হওয়া আর্থিক তছরুপ (Extortion Case) মামলায় জ্যাকলিনের নাম জড়ানোর পরই তাঁর সমস্ত বিনিয়োগ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কী বললেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ?
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ তাঁর উত্তরে বলেন, 'শুধু এই কারণে যে তিনি কিছু উপহারের প্রাপক, যা দিয়ে একটি সংযোগ গঠনের জন্য তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল, এই সত্যটিকে উপেক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না যা রেকর্ড অন্যথায় স্পষ্টভাবে বলছে যে তিনিও সুকেশ চন্দ্রশেখর দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন। ইডি-র মন্তব্য, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মনে হচ্ছে ভীষণভাবে যান্ত্রিক এবং অনুপ্রাণিত, তাই, উত্তরদাতা (জ্যাকলিন) অর্থে যা পরিমাপ করা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি হারিয়েছেন।'
জ্যাকলিন একইসঙ্গে ইডি-কে দোষাপোরও করেছেন। তাঁর বক্তব্য, নোরা ফতেহি (Nora Fatehi) সহ আরও একাধিক তারকা মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে উপহার পেয়েছেন যাঁদের সাক্ষী করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে এখানে অভিযুক্ত হিসেবে টেনে আনা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অভিনেত্রী আরও দাবি করেছেন যে চন্দ্রশেখর বারবার প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও জোর করে তাঁকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিতেন।
আরও পড়ুন: Jagadhatri: সাধারণ এক মেয়ের ছদ্মবেশে নিজের অন্য পরিচয় লুকিয়ে ঘুরছে 'জগদ্ধাত্রী'!
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ২০০ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে এবার অভিযুক্ত অভিনেত্রীও। দিল্লির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)। এর আগে অভিনেত্রীর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল ইডি। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এপ্রিলে অভিনেত্রীর ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল এজেন্সি।
চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। গত ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে আসে বহু জরুরি তথ্য । এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন।