Jeetu Kamal Exclusive: 'আলাদিনের ম্যাজিক কার্পেটে করে আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেলে..' 'অপরাজিত' পরিচালকের জন্মদিনে জিতু
Jeetu Kamal Exclusive: ছবির পর্দায় সত্যজিতের রূপে যাঁকে দেখে মানুষ নস্ট্যালজিয়ায় ভাসছেন, ডুবছেন, তাঁর জীবনযাত্রা কিন্তু বদলায়নি একটুও। রবিবাসরীয় সকালে নিয়মমাফিক মাঠে দৌড়তে গিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা: তিনি আর 'অপরাজিত রায়'-এর মিলেমিশে গিয়েছেন। বাঙালি সাদা-কালো পর্দায় তাঁর মধ্যেই যেন ফের একবার চলাফেরা করতে দেখছেন তাঁদের আইকনকে। কিংবদন্তিকে। সত্যজিৎ রায় (Satyajit Roy)। আর পর্দায় সেই চরিত্রে যাঁকে 'অপরাজিত' বলেই মনে করছেন দর্শক, তিনি জীতু কমল। অনেকে অবশ্য তাঁর পদবীর সঙ্গে মিল রেখে বলেই ফেলছেন, 'সত্যিই কামাল করেছেন জীতু কমল' (Jeetu Kamal)।
কিংবদন্তি আর কিংবদন্তির সৃষ্টির গল্প সাদায় কালোয় পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক অনীক দত্ত (Anik Dutta)। সেই ছবির সংলাপের মতোই এখন দলে দলে বাঙালি সত্যজিতের আকর্ষণে ছুটছেন প্রেক্ষাগৃহে। ছবিতে 'পথের পদাবলী' ছবির উদ্দেশে সংলাপ ছিল, 'এই ছবি না দেখলে নাকি সভ্য সমাজে মুখ দেখানো যাবে না।' কার্যত সেই সংলাপই যেন বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে 'অপরাজিত'-র ক্ষেত্রে।
ছবির পর্দায় সত্যজিতের রূপে যাঁকে দেখে মানুষ নস্ট্যালজিয়ায় ভাসছেন, ডুবছেন, তাঁর জীবনযাত্রা কিন্তু বদলায়নি একটুও। রবিবাসরীয় সকালে নিয়মমাফিক মাঠে দৌড়তে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ফাঁকেই এবিপি লাইভ তাঁর কাছে আবদার জানায়, অনীক দত্তের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর। কেন? পর্দায় যাঁর হাত ধরে জীতু সত্যজিৎ হয়েছেন, আজ তাঁর জন্মদিন। এবিপি লাইভের কথা রেখে ছোট্ট চিঠি লিখলেন জীতু ওরফে 'অপরাজিত রায়' -
'অনীকদা তুমি অপ্রতিরোধ্য। প্রথমেই তোমায় জানাই অসংখ্য অভিনন্দন। জন্মদিনের। আমি যে খুব উচ্চপ্রত্যাশী তেমনটা নয়। আমি আমার জগৎ নিয়ে বেশ ছিলাম। দুবেলা দুমুঠো জুটেও যাচ্ছিল। হঠাৎ তুমি আলাদীনের ম্যাজিক কার্পেট নিয়ে আমার কাছে উপস্থিত হলে আর আমায় উড়িয়ে নিয়ে চললে। আমায় নিয়ে যাচ্ছ এক অজানা, অচেনা পৃথিবীতে। এক আলোর জগতে। সত্যজিৎ রায়ের প্রতি তোমার একাগ্রতা আর অনুধাবন সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। আমি তোমার নজরে আসতে পেরে সত্যিই ধন্য। তুমি আমায় দিয়ে যেভাবে এই কাজটি করিয়ে নিলে তাতে আমি ধন্য। আমি বাদে অন্য যে কোনও অভিনেতাকে দিয়েই যে তুমি এই কাজটি করিয়ে নিতে পারতে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে আমি এই স্বনামধন্য চরিত্রটা করতে পেরে তোমার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম। ভালো থেকো স্যর। সুস্থ থেকো আর এই রকমই আপনভোলা থেকো আমার ডিরেক্টর। তুমি বিনা আমি যেন মণীহারা ফণি। আরও একবার হ্যাপি বার্থ ডে। শুভ জন্মদিন। ভালো থেকো।'