K K Death: কে কে প্রসঙ্গে রূপঙ্করের মন্তব্যে কী বলছেন অর্জুন চক্রবর্তী?
K K Demise: নেট দুনিয়ায় রূপঙ্করকে তাঁর মন্তব্যের জেরে ট্রোল করতে শুরু করেন নেট নাগরিকরা। এবার একে একে এই প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করছেন তারকারা।
কলকাতা: 'হু ইজ কে কে?' গত পরশু নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লাইভ করে জনপ্রিয় গায়ক কে কে (K K) প্রসঙ্গে নানা মন্তব্য প্রকাশ করেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। 'আমি তো গান শুনে যা বুঝলাম কে কে-র থেকে আমরা সবাই ভাল গান গাই। তো আমাদের নিয়ে আপনারা এত উত্তেজনা বোধ করেন না কেন বলুন তো? কী কারণ? কে কে, কে কে, কে কে... কে? হু ইজ কে ম্যান? আমরা যে কোনও কে-র থেকে বেশি ভাল।' গত পরশু ফেসবুক লাইভে এসে এমনই মন্তব্য করেন বাংলার গায়ক রূপঙ্কর। এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেট দুনিয়ায় রূপঙ্করকে তাঁর মন্তব্যের জেরে ট্রোল করতে শুরু করেন নেট নাগরিকরা। এবার একে একে এই প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করছেন তারকারা।
রূপঙ্করের মন্তব্য প্রসঙ্গে অর্জুন চক্রবর্তী-
বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty) বলেন, 'আমার মনে হয় কোনও সিস্টেমকে সমালোচনা করা বা একটা সংস্ক্তিকে সমালোচনা করা। বিশেষ করে কারও নাম না নিয়েও অনেক কথা বলা যায়। শিল্পী হিসেবে আমরা সবাই নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করি। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, অভিনয় করা যাই হোক না কেন। খেলার দিক থেকেও তাই। এভাবে না বললেও হত। '
আরও পড়ুন - KK Demise: কীভাবে সঙ্গীতজগতে পা রেখেছিলেন সদ্য প্রয়াত গায়ক কে কে?
প্রসঙ্গত, অর্জুন চক্রবর্তী ছাড়াও রূপঙ্কর বাগচীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আর এক সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। সঙ্গীতশিল্পী ইমনের বক্তব্য, 'রূপঙ্কর দা কিছু বক্তব্য রেখেছেন। ওঁর মতো করে। উনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এবং সেখানে আমার নামও রয়েছে যে আমি কতটা ভালো গান গাই। আমার পারফরম্যান্সের জন্য কত লোক উপচে পড়ে। তার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ। থ্যাঙ্ক ইউ রূপঙ্কর দা। তুমি এভাবে আমার প্রশংসা করেছো বলে। বাংলার শিল্পীদের হয়ে কথা বলেছ বলে। খুব জোর গলায় তুমি এই কথাগুলো বলেছ। কিন্তু এটা বলার আগে যদি একবার যাদের নাম বলেছ, তাদের থেকে জানতে চাইতে যে এটা তাদেরও বক্তব্য কিনা, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ, এটা একেবারেই আমার বক্তব্য নয়।'
অকালে চলে গিয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কে কে। গতকাল কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর হোটেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।