Koel Mallick Exclusive: গড়িয়াহাটের মোড়ে গাড়ি ঘিরে উচ্ছাস, ছোট্ট কোয়েল তখন ভাবছেন, 'সবাই বাবার নাম জানল কী করে?'
Actress Koel Mallick Exclusive: একদিন টিভিতে 'কপালকুণ্ডলা' সিনেমা চলছিল। টিভিতে চোখ রেখে অবাক হয়ে গেল সেই মেয়ে। মহুয়া রায়চৌধুরীর সঙ্গে পর্দায় ওটা বাবা!
কলকাতা: একদিন বাড়ি থেকে গাড়ি করে পাড়ি দিয়েছেন গন্তব্যে। হটাৎ গড়িয়াহাটে (Gariahaat) গাড়ি থামিয়ে মা নেমে পড়লেন কেনাকাটা করতে। গাড়িতে বাবার সঙ্গে বসে একরত্তি মেয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির চারিদিকে ভিড় জমে গেল, সবাই চিৎকার করছে, উচ্ছাসে ফেটে পড়ছেন অনুরাগীরা। 'রঞ্জিত মল্লিক.. রঞ্জিত মল্লিক...' (Ranjit Mallick) বাবার পাশে বসে তখন অবাক একরত্তি মেয়েটা। 'আমার বাবার নাম সবাই কি করে জানল!'
রহস্য উন্মোচন হয়নি সেই দিনও। কি করেই বা হবে? অন্য সব বাবাদের মতো তাঁর বাবাও সন্ধেবেলা আর সব বাবাদের মতোই তো সাড়ে ৬টার সময় বাড়ি ফিরে আসতেন তাঁর বাবা। তারপর গল্প, পড়াশোনার খোঁজ.. সবকিছুই তো নিয়মমাফিক। রবিবার (Sunday) ছুটির দিনটাও কাটাতেন পরিবারের সঙ্গে। অন্য বাবাদের থেকে কোনও পার্থক্য় তো ধরা পড়ত না সেই একরত্তি মেয়ের চোখে। শেষে একদিন ভুল ভাঙল টিভির পর্দায় চোখ রেখে।
সেইসময় প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছোটদের সিনেমা দেখার কোনও চল ছিল না। তারকা সন্তান হলেও তাঁর ক্ষেত্রে সেই নিয়মের পরিবর্তন ছিল না। একদিন টিভিতে 'কপালকুণ্ডলা' সিনেমা চলছিল। টিভিতে চোখ রেখে অবাক হয়ে গেল সেই মেয়ে। মহুয়া রায়চৌধুরীর (Mahua Roy Chowdhury) সঙ্গে পর্দায় ওটা বাবা! সেইদিন বুঝেছিলেন, নাহ.. তাঁর বাবা আর সবার থেকে আলাদা। তাঁর বাবা রঞ্জিত মল্লিক। টলিউডের কিংবদন্তি নায়ক।
আরও পড়ুন: Fathers' Day Exclusive: 'রোজ সাড়ে ছ'টায় বাড়ি ফিরতেন, জানতাম না বাবার কাজটা সবার থেকে আলাদা'
সময় গড়িয়েছে, সেই একরত্তি মেয়ের বয়স বেড়েছে। বাবার পেশাকে চিনেছেন, বুঝেছেন আর কখন যেন নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছেন। তারপরের গল্পটা বোধহয় সবার জানা। একের পর এক হিট ছবি আর টলিউডের পর্দায় রাজত্ব করেছেন রঞ্জিত মল্লিক কন্যা। কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)
আজ ফাদার্স ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়েলের প্রোফাইলে ঝলমল করছে হাসিমুখের বাবা-মেয়ের ছবি। আর এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে বেঁধে থাকার গল্প যেন এক নিঃশ্বাসে বলে যাচ্ছিলেন কোয়েল। রঞ্জিত মল্লিক যতটা রূপোলি পর্দার, ততটাই ঘরোয়া। কোয়েলের কথায়, 'কখনও কোনও বিশেষ দিনে বাবাকে মিস করিনি। সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন। বাবা মনে করতেন, কেমন অভিনয় নয়, পরিবারকে সময় দেওয়াটাও তাঁর দায়িত্ব। এখন বাবা বন্ধু হয়ে গিয়েছেন। খারাপ ভালো সবকিছু নিয়ে কথা বলি, আলোচনা করি। বাবা বলতেন, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাববে। ভুল হলে তার ফল তোমাকেই পেতে হবে। সেটা সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করি। বাবার শিক্ষাগুলো অজান্তেই মনের গভীরে গেঁথে আছে। অজান্তেই বাবাকে রোল মডেল বানিয়ে ফেলেছি যে...'