Lagnajita Chakraborty: লগ্নজিতাকে গান গাইতে বাধা, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু!
Lagnajita Chakraborty News: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিব স্কুল মালিকের বিরুদ্ধে

কলকাতা: সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে (Lagnajita Chakraborty) হেনস্থা করার মতো ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি, গ্রেফতার ও করা হয়েছে অভিযুক্তকে। আর এবার এই ঘটনায় যুক্ত হল খুনের ধারা। জানা যাচ্ছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতে, এই ঘটনায় ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত করা অযৌক্তিক। ঠিক কী ঘটেছিল লগ্নজিতার সঙ্গে?
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিব স্কুল মালিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুল মালিককে গ্রেফতার করেছিল ভগবানপুর থানার পুলিশ। বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন শিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী। আর সেখানেই হেনস্থার মুখে পড়তে হল শিল্পীকে। মারাত্মক এই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। শনিবার সেখানকার সাউথ পয়েন্ট পাবলিক সকুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন শিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, 'জাগো মা’ গানটি গাওয়ার পর দর্শকাসন থেকে মেহবুব মল্লিক নামে এক ব্যক্তি উঠে আসেন মঞ্চে। তিনি লগ্নজিতাকে মারধর করতে পর্যন্ত উদ্যত হন। এই ঘটনার পর ভগবানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিল্পী।
এই বিষয় নিয়ে লগ্নজিতা বলেছিলেন, '১১ বছর ধরে গান গাইছি। নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রত্যেকবারই নতুন কিছু হয়। এই অভিজ্ঞতাটা সম্পূর্ণ নতুন।' এই ঘটনা কী শিল্পীর মনে একটা আতঙ্ক তৈরি করেছে? সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'এই বছর পুজোয় আমার একটা গান মুক্তি পেয়েছে। 'জাগো মা' আমার অন্যতম প্রিয় একটা গান। এই গানটা আমি গাইব না এটা তো হতে পারে না। আমার আবার ২৬ তারিখ অনুষ্ঠান আছে। সেখানেও আমি আমার ৭ নম্বর গানটা 'জাগো মা'-ই গাইব। তবে অবশ্যই আমি চাই না সেদিন আমায় আবার কেউ মারতে উঠুক। সেই জায়গায় একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আমি কাজ করতে গিয়েছি, গান গাইতে গিয়েছি। মার খেতে তো যাইনি।'
আর আজ এই ঘটনায় ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন কবীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমায়ুন লেখেন, 'খুনের চেষ্টার মামলা! এটা বাড়াবাড়ি ও অযৌক্তিক। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বাড়াবাড়ি ঘিরেই হয়'। এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সজল ঘোষ।






















