Rahul Rooqma: ফের একসঙ্গে রাহুল-রুকমা, 'লালকুঠি'-র সেট থেকে কী বলছেন এই জুটি?
এই ধারাবাহিকে কাজ করছেন রুকমা। গল্পের মুখরা বলে দিয়ে তিনি বলেন, 'এর আগে বাংলায় এমন থ্রিলার নিয়ে ধারাবাহিক হয়নি। আমিও প্রথমবার এই কাজ করছি। দর্শকদের আশা করি ভালো লাগবে।'
কলকাতা: বাংলা ধারাবাহিকে থ্রিলার নিয়ে আসছে 'লালকুঠি'। আর এই ধারাবাহিকের কারণেই আবার জুটি বাঁধছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় আর রুকমা রায়। আগামী ২ তারিখ থেকে শুরু হবে এই নতুন ধারাবাহিক। প্রধান দুই নায়ক নায়িকার নাম অনামিকা ও বিক্রম (Vikram and Anamika)।
এই ধারাবাহিক নিয়ে রাহুল বলছেন, 'জীবনে প্রথম সিনেমায় সুযোগ পাই জি বাংলার একটি ধারাবাহিকের কারণেেই। ফের সেই চ্যানেলের ধারাবাহিকে কাজ করার আমার কাছে ঘরে ফেরার মতোই। ১৪-১৫ বছর পরে আবার এই ধারাবাহিকে কাজ করছি। আমার সঙ্গে অনেক প্রিয় মানুষ কাজ করছেন। আর আমার সঙ্গে কাজ করছেন রুকমা রায়। ওর সঙ্গে আমার জুটিকে দর্শকেরা ভালোবেসেছেন।'
এই ধারাবাহিকে কাজ করছেন রুকমা। গল্পের মুখরা বলে দিয়ে তিনি বলেন, 'এর আগে বাংলায় এমন থ্রিলার নিয়ে ধারাবাহিক হয়নি। আমিও প্রথমবার এই কাজ করছি। দর্শকদের আশা করি ভালো লাগবে।'
'লালকুঠি'-র গল্পের প্রেক্ষাপট
গয়না ডিজাইনিং শিখে বিদেশ থেকে দেশে এসেছে অনামিকা। ঘটনাক্রমে গঙ্গার ঘাটে বিক্রমের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় তাঁর। প্রথম দেখা তুমুল ঝগড়ায় শেষ হলেও পরে বিক্রমের অফিসেই কাজে যোগ দেয় রুকমা। তাঁর কাজ দিয়েই মন জয় করে নেয় বিক্রমের। গল্পের পরতে পরতে তখন থাকবে কেবলই ভালোবাসা। ধীরে ধীরে ভালোলাগা, ভালোবাসা গড়ায় বিয়েতে। কিন্তু বিক্রমের বাড়ি 'লালকুঠি' তে পা দিয়েই বদলে যায় অনামিকার জীবন। এই বাড়ির মধ্যে যেন কী একটা আছে। প্রশ্ন করেও কোনও উত্তর পায় না অনামিকা। কিন্তু বারে বারে তাঁর মনে হতে থাকে, তার জীবন বিপন্ন। কিছুতে যেন ভয় পেয়েছে সে। এমনকি বিক্রমকে জানিয়েও কোনও সুফল পায় না সে। বরং তাঁর মনে হতে থাকে, বিক্রমের অতীতেও যেন কোনও একটা ঘটনা আছে যা সে লুকিয়েছে অনামিকার থেকে। রহস্য সমাধান করার চেষ্টা শুরু করে অনামিকা। 'লালকুঠি'-র (Laal Kuthi) গল্প মোড় নেয় রহস্যে, রোমাঞ্চে।
আরও পড়ুন: Web Series Chakra: সাহেব, জনকে নিয়ে আসছে নতুন থ্রিলার ওয়েব সিরিজ 'চক্র'
ইতিমধ্যেই ঝলক দেখে স্পষ্ট, বড় পর্দা, সিরিজের অতি জনপ্রিয় রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানা এ বার দানা বাঁধতে চলেছে ছোট পর্দাতেও। শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব, একঘেয়ে ঘরোয়া গল্প সরিয়ে স্বাদবদলের পালা এখানেও। একই সঙ্গে আরও একটি জিনিস মনে করিয়ে দিয়েছে। ১৯৭৮ সালের দ্বিভাষিক ছবি ‘লালকুঠি’র কথা। কনক মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় হিন্দি এবং বাংলায় তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত ছবিটি। যা আদতে ভৌতিক মনে হলেও শেষে দর্শকেরা জানতে পারবেন, পুরোটাই রহস্য কাহিনি!