Rani Rashmoni: 'এবার থেকে বলতে হবে গদাধর ছিলাম', শ্যুটিং শেষে আবেগপ্রবণ সৌরভ
'আমি আপনাদের সকলের প্রিয় গদাধর..' কথাটা বলেই এক মুহূর্ত থামলেন অভিনেতা সৌরভ সাহা। তারপর একটু হেসে বললেন, 'আজকের পর থেকে আমাকে বলতে হবে, গদাধর ছিলাম।'
কলকাতা: 'আমি আপনাদের সকলের প্রিয় গদাধর..' কথাটা বলেই এক মুহূর্ত থামলেন অভিনেতা সৌরভ সাহা। তারপর একটু হেসে বললেন, 'আজকের পর থেকে আমাকে বলতে হবে, গদাধর ছিলাম।' ধারাবাহিক 'করুণাময়ী রানি রাসমনি' ((Korunamoyee Rani Rashmoni)-র শেষদিনের শ্যুটিংয়ে দীর্ঘ সফর ফিরে দেখলেন ধারাবাহিকের শ্রীরামকৃষ্ণ ওরফে সৌরভ (Sourav Saha)।
শেষদিনের শ্যুটিংয়ে সৌরভ বললেন, 'আমাদের ধারাবাহিক রানি রাসমণির যাত্রা এর পর্যন্তই। এরপর অন্য কোথাও, অন্য কোনও রূপে ফের ধরা দেব আপনাদের সামনে। আপনারা আমায় যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। ধারাবাহিকে প্রথম যেদিন কাজ করতে আসি একটা ভয় থাকে, সেইসঙ্গে নতুন চরিত্রে অভিনয় করার ভালোলাগাও থাকে। আর শেষদিন একরাশ মনখারাপ নিয়ে সেট ছাড়তে হয়। এর মাঝের সময়টাই আমাদের মনে থেকে যায়। প্রায় দেড় বছর এই মহান চরিত্রকে আমি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে পেরেছি আর প্রতিক্রিয়ায় যেভাবে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি দর্শকদের কাছে ঋণী। এই শেষদিনে কেবল ভালোবাসাই আদান প্রদান করা যায়।'
মনখারাপ ধারাবাহিকের প্রাণকেন্দ্র রাসমণি ওরফে দিতিপ্রিয়ারও। ধারাবাহিকে শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল ৬ মাস আগে। তবু তিনি জানতেন, ধারাবাহিকের শ্যুটিং সেট আছে, মানুষগুলো আছে। মনখারাপ হলেই চলে আসতে পারতেন রানি রাসমণি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু শেষদিনের শ্যুটিংয়ে এসেও মন ভারি হয়ে গেল তাঁর। শেষবারের মত পরলেন সেই সাদা শাড়ি, গায়ে নিলেন শাল। ধারাবাহিক 'করুণাময়ী রানি রাসমণি'-র (Korunamoyee Rani Rashmoni) শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে মনখারাপ দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy)।
আরও পড়ুন:Sandhya Mukhopadhyay Health Update: স্থিতিশীল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কোমরের হাড়ের অস্ত্রোপচার সফল, জানাল হাসপাতাল
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, স্কুলের গন্ডি পেরনো, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, কলেজে পা রাখা, সবকিছুরই সাক্ষী এই ধারাবাহিক। শ্যুটিং সেটে বই নিয়ে যেতেন 'রানি রাসমনি' ধারাবাহিকের 'রানিমা'। ৪ বছর ধরে সমানতালে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা ও অভিনয়। শেষদিনের শ্যুটিংয়ে এসে দিতিপ্রিয়া বলছেন, 'আজ থেকে ৬ মাস আগে ধারাবাহিকে আমার অংশ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিকের সঙ্গে আমি চার বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত। এই মানুষগুলো আমার পরিবারের মত হয়ে গিয়েছে। ইন্দ্রপুরী স্টুডিওটা নিজের বাড়ির মত মনে হয়। মনখারাপ হলেই আমি এখানে চলে আসতাম সবার সঙ্গে দেখা করতে। মনে হত, মানুষগুলো আছে, সেটটা আছে। আজকের পর সেটা আর থাকবে না। সবাই অন্যান্য জায়গায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। সব মিলিয়ে মনখারাপ তো বটেই।'