Sean-Trina: সত্যঘটনা অবলম্বনে থ্রিলার ওয়েব সিরিজ, মুখ্যভূমিকায় শন-তৃণা
Web Series: গল্পের প্রেক্ষাপট উত্তর ভারতের একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানে বাঘের হাতে প্রায়শই নিহত হতে হয় গ্রামবাসীদের। সত্যিই কি এই সমস্ত ঘটনা নিছক কাকতালীয় নাকি এর মধ্যে রয়েছে কোনও মারাত্মক পরিকল্পনা?
কলকাতা: উত্তর ভারতের একটি গ্রাম আর সেখানেই ঘটে যাওয়া একটি রোমহর্ষক গল্প। অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ক্লিক (KliKK) ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ওয়েব সিরিজ পিলকুঞ্জ। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকার একটি ছোট্ট গ্রামের গল্পকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন এই ওয়েব সিরিজ। মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে শন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sean Banerjee) ও তৃণা সাহা (Trina Saha)-কে। আজ মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের ফার্স্ট লুক। সিরিজ মুক্তি পাবে আগামী মাসে।
গল্পের প্রেক্ষাপট উত্তর ভারতের একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানে বাঘের হাতে প্রায়শই নিহত হতে হয় গ্রামবাসীদের। কিন্তু সত্যিই কি এই সমস্ত ঘটনা নিছক কাকতালীয় নাকি এর মধ্যে রয়েছে কোনও মারাত্মক পরিকল্পনা? সেই রহস্য সমাধানেই, কলকাতা থেকে ছদ্মবেশে ওই গ্রামে পৌঁছন সাংবাদিক সিদ্ধার্থ। তিনি পরিচয় নেন একজন ফটোগ্রাফারের। এই চরিত্রেই দেখা যাবে শন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই অভিযানে গ্রামে গিয়েই সিদ্ধার্থর আলাপ হয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসকের সঙ্গে। নাম বিদিতা। এই চরিত্রেই দেখা যাবে তৃণাকে। সিদ্ধার্থের সঙ্গে রহস্য সমাধানে জড়িয়ে পড়ে এই বিদিতাও।
এই ধারাবাহিকে শন ও তৃণা ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শঙ্কর দেবনাথ, জয়ী দেবরায়, দেবতনু, বৃষ্টি রায়, সোহম গুহা পত্তাদার, প্রতীক রায়, সৌরভ সাহা, পালওয়াল চক্রবর্তী, গৌতম মৃদ্ধা। এই সিরিজ প্রযোজনা করছেন ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালনা, চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফী, সম্পাদনা ও আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন পরিচালক স্বয়ং। শব্দবিন্যাস তীর্থঙ্কর মজুমদার ও ভিসুয়াল এফেক্স, রজত দলুই।
এই সিরিজ ছিলে পরিচালক অর্ণব বলছেন, 'পিলকুঞ্জ - প্রজেক্ট 'টাইগার'- এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই সিরিজ আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। ২০১৭ সালে উত্তর ভারতে, একটি সংরক্ষিত ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। এই সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা দেশের শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের পর্যন্ত নাড়া দিয়েছিল। রহস্যজনকভাবে দেখা গিয়েছিল, যাঁরা নিজেদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তাঁরা শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণের টাকার জন্যে এই আত্মত্যাগ করেছিলেন। সঠিক কোনও তথ্য উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত... স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাচক্রে প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হয়েছিল মানুষখেকো বাঘকে। কড়া সরকারি পদক্ষেপের পরবর্তীকালে এই রহস্য উন্মোচিত হয় ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে বলিদানের এই রক্ত হিম করা তথ্যগুলি এখনও সেই এলাকার স্মৃতিতে তাজা। আজও স্মৃতিরোমন্থন করে শিউরে ওঠেন, যারা উত্তর ভারতের গ্রামে সেই ভয়াবহ ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। আমার মনে হয়েছিল এই ঘটনা ছবিতে তুলে ধরার মতোই। পিলকুঞ্জ-এর মতো কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ক্লিক-কে ধন্যবাদ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন