Headache Remedies: মাথার যন্ত্রণায় মন বসছে না কাজে ? ৬ পানীয় চাঙ্গা করবে কয়েক মিনিটে
Drinks To Reduce Headache: মাথার যন্ত্রণায় অনেক সময় কাজ করা দায় হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে ছয়টি পানীয় রেহাই দিতে পারে।
কলকাতা: কাজ করতে করতে প্রচণ্ড মাথা ধরে গিয়েছে। ঝিমুনি আসছে মাঝে মাঝেই। কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। এমন ঘটনাগুলি অনেকের সঙ্গেই ঘটে থাকে। মাথা ধরা ছাড়াতে অনেকেই চায়ের উপর ভরসা রাখেন। তবে চায়েরও নানা প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট চা এক মিনিটেই চাঙ্গা করে দেয় মেজাজ। আবার চা ছাড়াও কিছু পানীয় রয়েছে। সেই পানীয় নিয়ম করে খেলে মাথা নিয়ে মাথা ব্যথা কমবে।
মাথা ধরা কমাবে এই পানীয়গুলি (drinks to reduce headache)
গ্রিন টি: প্রথমে চায়ের নাম দিয়েই শুরু করা যাক। মাথা ধরা কমাতে ওস্তাদ গ্রিন টি। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই বিশেষ উপাদানটি আমাদের মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। তাই মাথা ধরাও ছেড়ে যায় কিছুক্ষণে।
আদা চা: আদা চায়ের মধ্যে জিঞ্জেরল নামের বিশেষ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি মাইগ্রেনের সমস্যা (migraine remedies) হলেও দারুণ কাজ দেয়। তাই শুধু চা না খেয়ে আদা চা বেছে নিতে পারেন নিজের জন্য।
পুদিনা পাতার চা: মাথা ধরার সমস্যা দ্রুত থেকে রেহাই দেয় পুদিনা পাতার চা। পিপারমিন্ট বা মিন্ট চায়ে অ্যানালজেসিক প্রভাব রয়েছে। তাই এটি ব্যথা ভোলায় সহজেই। এছাড়াও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা টেনশন হলেও এই চা খাওয়া ভাল। এর পাশাপাশি মাইগ্রেনের সমস্যাতেও (migraine attack) পুদিনা পাতার চা দারুণ উপকারী। ক্যাফেইন নেই এই চায়ে। তাই নিয়ম করে খেলে ঘুমের সমস্যা হবে না।
অন্য পানীয়ও মাথা ধরা কমায় !
গরম লেবু জল: ব্রেনকে চাঙ্গা করতে দারুণ কাজ করে লেবুর জল। এটি হালকা গরম করে খেয়ে নিন এক গ্লাস। এর ভিটামিন সি শরীরের টক্সিন ধুয়ে বার করে দেয়। এর ফলে ব্রেনের স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়।
আমন্ড দুধ: আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। আমন্ড দুধ খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা (dehydration remedies) অনেকটাই কমে যায়। ফলে ব্রেন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
জল: শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। জল মাথা ধরার সমস্যা সহজেই কমাতে পারে। শরীরে জল কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলে মস্তিষ্কের কোশগুলিই সেই সমস্যায় ভুগতে থাকে। আমাদের ব্রেনের অধিকাংশটাই জল। তাই জলের মাত্রা ঠিক থাকলে মাথা ঠিকমতো কাজ করে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Cough types: কাশিরও আছে রকমফের ! কোনটায় ভয় কোনটায় নয় ?