Abhijit Gangopadhyay: অন্তত একটা-দুটো রায় দিয়ে যেতে চাই, যা মানুষ মনে রাখবে, সোজাসাপ্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
GhantaKhanek Sange Suman: গোটা দেশের টেলিভিশনের প্রথমবার। দুর্নীতি থেকে শাসন ব্যবস্থা, সোজাসুজি প্রশ্নে খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়েছেন একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত। তাঁর একাধিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বদলেছে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থার অবস্থান। এবিপি আনন্দর মুখোমুখি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। গোটা দেশের টেলিভিশনের প্রথমবার।
এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, 'আমি জীবনানন্দকে মনে রাখতে চাই। যিনি স্বীকৃতি পেয়েছিলেন মারা যাবার পরে। অন্তত একটা-দুটো রায় দিয়ে যেতে চাই, একটা দুটো নজির স্থাপন করে যেতে চাই যেটা আমি যখন থাকব না, তখন হয়তো কোনও গবেষকের তথ্যে উঠে আসবে যে, একজন জাজ এরকম করতেন। সেটা পাগলামি হতে পারে। বেঁচে কেউ থাকে না। ইতিহাস কাউকেই মনে রাখে না।'
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, 'হয়তো মনে রাখবেন যে, জ্যোতিবাবু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইতিহাস কাউকে মনে রাখে না, আমাকেও মনে রাখবে না। কেউ মনে রাখে না। আমরা সাধারণ মানুষরা ক’বার জ্যোতিবাবুরক কথা বলি। পার্টির লোকেরা হয়তো মনে রাখেন। আমরা করি না।'
সরাসরি দেখুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি। অভিজিৎবাবু বলেছেন, 'দুর্নীতির প্রতিবাদ প্রতি মুহূর্তে করতে হবে। সমাজে টিকে থাকতে হলে দুর্নীতির সঙ্গে কিছুটা সমঝোতা করতেই হয়। আমাকে এখনও পর্যন্ত করতে হয়নি। ভবিষ্যতে যদি দেখা যায় দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করতে গিয়ে নিজে ধ্বংস হচ্ছি, আমি করব না।'
কেউ বলেন তিনি অরণ্যদেব, কেউ বলেন তিনি সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। কেউ বলেন তিনি জনগণের বিচারপতি। কেউ বলেন তিনি আইনের এ বি সি ডি-ও জানেন না।
কিন্তু তথ্য বলছে, গত ১০ মাসে নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত ১০টি মামলায় তদন্তভার তিনি সটান তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। তাঁরই নির্দেশে তিন দফায় ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী দুর্গাপুজোর মুখে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি পেতে চলেছেন। বিধাননগরে নিজের ফ্ল্যাটে বসে এবিপি আনন্দের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে। নিজেও বেকার ছিলাম, বেকারদের কষ্টটা বুঝি। একই জিনিসের যখন দুরকম ভার্সন দেখলাম, তখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: দুর্নীতি থেকে শাসন ব্যবস্থা, এবিপি আনন্দে অকপট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়