Delhi Acid Attack : দিল্লিতে ভয়ঙ্কর ঘটনা! ইউনিভার্সিটি যাওয়ার রাস্তাতেই ছোড়া হল অ্যাসিড, ঝলসে গেল ...
Acid attack on Delhi University student : রাস্তাতেই ২০ বছরের ওই ছাত্রীর গায়ে অ্য়াসিড ছুড়ে মারে অ্যাসিড। প্রচন্ড যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি।

নয়াদিল্লি: ফের ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজধানী দিল্লিতে। গা-শিউরে ওঠা ঘটনা । নৃশংস অ্যাসিড হামলার শিকার দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক ছাত্রী। ঝলসে গিয়েছে তার দুটি হাত। হাসপাতালে চরম যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মেধাবী ছাত্রী।
রবিবার দিল্লিতে অ্য়াসিড হামলার শিকার হন দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক ছাত্রী। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বিশেষ ক্লাসের জন্য় লক্ষ্মীবাই কলেজে যাওয়ার সময়ে একদল যুবক তাঁকে ধাওয়া করে আসেন। অভিযোগ, জিতেন্দ্র বলে ছাত্রীর একজন পরিচিত ছেলেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তার সঙ্গে আরও ২জন যুবক আরমান এবং ঈশানও মোটরবাইক নিয়ে সেখানে আসে। এরপর রাস্তাতেই ২০ বছরের ওই ছাত্রীর গায়ে অ্য়াসিড ছুড়ে মারে অ্যাসিড। প্রচন্ড যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি।
ছাত্রীর দাবি, ঘটনা ঘটিয়েই পালায় অভিযুক্তরা। নিজেকে যে কোনওভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও অ্য়াসিডে পুড়ে যায় ছাত্রীর ২ হাত। পুলিশ সূত্রে দাবি, ছাত্রীর বাবার অভিযোগ আগে থেকেই জিতেন্দ্র তাঁর মেয়ের পিছু নিত। কিছুদিন আগে তাঁদের মধ্য়ে বচসাও হয়। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জিতেন্দ্র তার সহযোগী ঈশান এবং আরমানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে আসে। পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ঈশান বলে ছেলেটি, আরমানকে একটি বোতল দিয়েছিল। আরমানই উপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে।" ছাত্রীটি তার মুখটি বাঁচাতে সক্ষম হলেও তার দুই হাতই পুড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (FSL) দল প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনা ফের একবার দিল্লি শহরে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। রাজধানীতে আরও শক্তিশালী প্রহরা এবং অ্যাসিড অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সাধারণ মানুষও।
আইন বলছে, কোনও দোকানে বিক্রির জন্য অ্যাসিড রাখলে বিক্রেতাকে তা স্থানীয় থানায় জানাতে হবে। কোন অ্যাসিড, কত পরিমাণে মজুত রাখছেন, তার হিসেব দিতে হবে। কেউ অ্যাসিড কিনতে ক্রেতার সচিত্র পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি রাখতে হবে। কী কারণে, কোন অ্যাসিড, কত পরিমাণে কিনছেন— সব বিক্রেতাকে নথিবদ্ধ করে রাখতে হবে। কিন্তু, এসব নিয়ম কি শুধুই খাতা কলমে? কীভাবে সহজলভ্য হচ্ছে অ্যাসিড?





















