Adani Group: হয়েই চলেছে রক্তক্ষয়, একমাসে ১২ লক্ষ কোটি হাতছাড়া সংস্থার, সম্পত্তিহানি আদানিরও
Hindenburg Research: আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ ঋণ, শেয়ার দরে কারচুপি-সহ করফাঁকি, এমন একাধিক অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আনে হিন্ডেনবার্গ।
নয়াদিল্লি: কয়েক মাস আগে পর্যন্ত, যা ছুঁয়ে দেখছিলেন, সোনা হয়ে যাচ্ছিল আক্ষরিক অর্থেই। কিন্তু কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগে এই মুহূর্ত গৌতম আদানি (Gautam Adani)। ধনকুবের তালিকা থেকে একধাক্কায় কয়েক যোজন নেমে আসার পাশাপাশি, তাঁর সম্পত্তিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে চলেছে। গত একমাসেই ১২ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছে তাঁর সংস্থা, দেশীয় বাজারে কোনও সংস্থার মূলধনে এমন ধস আগে দেখা যায়নি (Adani Group)।
গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মূলধন ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) সংগঠনের তরফে কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই লাগাতার ধস নেমেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। তাতে ১৯ লক্ষ কোটি থেকে ৭.২ লক্ষ কোটিতে এসে ঠেকেছে আদানি গোষ্ঠীর মূলধন।
আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ ঋণ, শেয়ার দরে কারচুপি-সহ করফাঁকি, এমন একাধিক অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আনে হিন্ডেনবার্গ। তারা জানায়, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত আদানি গোষ্ঠীর আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি ট্রান্সমিশন-সহ সাতটি সংস্থায় বিনিয়োগে ৮৫ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে। তার পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর যে তিন সংস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি হল, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি ট্রান্সমিশন। একমাসের মধ্যে এই তিন সংস্থার শেয়ারে ৮০ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর অন্য সংস্থাগুিলর শেয়ার দরেও বিগত ৫২ সপ্তাহের সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: Ericsson Layoff: টেলিকম খাতে বিপুল কর্মী ছাঁটাই, ৮,৫০০ কর্মীর চাকরি যাবে এই সংস্থায়
গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ। গোড়ায় ওই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে চাননি তাবড় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞও। কিন্তু তার পর যত দিন এগিয়েছে, ততই অশনি সঙ্কেতের ইঙ্গিত মিলেছে। ২৫ থেকে নেমে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর এই মুহূর্তে ৮০ শতাংশে। গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণও ১২ হাজার কোটি ডলার থেকে নেমে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
শুধু শেয়ার বাজারেই ধস নয়, আন্তর্জাতিক মহলে ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। ভারতের বাজারেও নজরদারির আওতায় চলে এসেছে তারা। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশের সংসদ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর রেকর্ড উত্থানে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে মামলা।