Independence Day: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতকে শুভেচ্ছা, বার্তা এল মহাকাশ থেকে
Astronaut Congratulates India: আগামী সোমবার ঔপনেবেশিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির ৭৫ বছর পালন করবে ভারত। দেশ-বিদেশ থেকে শুভেচ্ছার বন্যা এসেছে। তবে এই বার্তাটি কিছুটা আলাদা।
নয়াদিল্লি: আগামী সোমবার ঔপনেবেশিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির ৭৫ বছর পালন করবে ভারত। দেশ-বিদেশ থেকে শুভেচ্ছার বন্যা এসেছে। তবে এই বার্তাটি কিছুটা আলাদা। পৃথিবীর মাটি ছাড়িয়ে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা এল মহাকাশ থেকে। প্রেরকের নাম? সামান্থা ক্রিসটোফোরেট্টি। মহাকাশচারী সামান্থা এই বিশেষ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন ইসরো-কে।
কী বলা হয়েছে বার্তায়?
'স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আপ্লুত।' এর পরেই আসেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কথা। কী ভাবে দশকের পর দশক ধরে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পে ইসরো অংশ নিয়েছে, সে কথা বলেন সামান্থা। সঙ্গে সংযোজন, 'NISAR আর্থ সায়েন্স মিশনকে কেন্দ্র করে এখনও সেই সহযোগিতা জারি রয়েছে। এর ফলে বিপর্যয়ের গতিবিধি বুঝতে পারব আমরা, কী ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে সেটাও বোঝা যাবে।' আসে গগনযান প্রকল্পের কথাও। সামান্থা বলেন, 'গগনযান অভিযান ঘিরে যে ভাবে মহাকাশে নভোচর পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, তাতে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস মিশন এবং বাকি সমস্ত এজেন্সির তরফ থেকে ইসরোকে আগাম শুভেচ্ছা।'
মহাকাশ ঘিরে গবেষণা...
এই মুহূর্তে আদিত্য এল ১, গগনযান, শুক্রযান, মঙ্গলযান-২ থেকে শুরু করে ইসরো-র ঝুলিতে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে। চন্দ্রযান-৩-র তোড়জোড়ও চলছে রমরমিয়ে। সব মিলিয়ে মহাকাশ গবেষণায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে প্রস্তুত তারা। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ইতালীয় মহাকাশচারীর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ভারতের সেই উদ্যোগের ছবিটাই স্পষ্ট। এদিন তাঁর ভিডিও বার্তাটি ট্যুইট করে ইসরো।
লালকেল্লায় নিরাপত্তা...
এদিকে এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্তত ৭ হাজার আমন্ত্রিতের আসার কথা। নিরাপত্তার জন্য তাই সব কটি এন্ট্রি পয়েন্টে ফেশিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম বা এফআরএস ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া, সোমবার অন্তত ১০ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন লালকেল্লা চত্বরে। তবে এতেই শেষ নয়। সোমবার যত ক্ষণ পর্যন্ত কেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন না হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত লাগোয়া ৫ কিলোমিটার এলাকা 'নো কাইট ফ্লাইং জোন' বলে চিহ্নিত থাকবে। পাশাপাশি কেল্লা-চত্বর ও স্পর্শকাতর আরও কিছু এলাকায় অন্তত ৪০০ জন 'কাইট ক্যাচার' ও 'ফ্লায়ার' রাখা হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, উড়ন্ত যে কোনও ধরনের বিপদ এড়াতেই এই ব্যবস্থা। এ ছাড়া ডিআরডিও-র তৈরি ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেমও ব্যবহার করা হবে। কাজে লাগানো হবে আরও কিছু সুরক্ষাব্যবস্থাও। এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, লাঞ্চবক্স, জলের বোতল, রিমোটচালিত গাড়ির চাবি, লাইটার, ব্রিফকেস, হ্যান্ডব্যাগ, ক্যামেরা, বাইনোকুলার, ছাতা এবং এই জাতীয় আরও বেশ কিছু জিনিস লালকেল্লা চত্বরে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। তবে চলতি বছর যে ভাবে আমন্ত্রিতের সংখ্যা বেড়েছে, সে দিকেও বিশেষ ভাবে নজর রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। পাশাপাশি যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কেল্লা-চত্বরে মোতায়েন হাই রেজোলিউশন সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ নিরন্তর খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে দিল্লিতে।
আরও পড়ুন:গোড়ালিতে চোট, ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেলেন সিন্ধু