'ছেলে গুলি করতে পারে না, পুলিশ জোর করে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি লিখিয়েছে', দাবি এনকাউন্টারে হত ধর্ষণে অভিযুক্তের মা
অভিযুক্ত অক্ষয় শিণ্ডেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিভাবকদের বিক্ষোভ ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে ওঠে বদলাপুর।
মুম্বই : ' আমার ছেলে কালীপটকা ফাটলে রাস্তা পের হতেই ভয় পেত....সে কী করে পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করবে ! ' ছেলে পুলিশকে গুলি করতে গিয়ে ছিল, পাল্টা গুলিতে মারা গিয়েছে। এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না বদলাপুরের ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুর কথা। মায়ের দাবি তার ছেলে, পুলিশের বন্দুক কেড়ে আক্রমণ করেছে, তা অবিশ্বাস্য ।
কিছুদিন আগেই স্কুলের শৌচাগারে দুই একরত্তি স্কুল ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের বদলাপুর। ঘটনায় অভিযুক্ত অক্ষয় শিণ্ডেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিভাবকদের বিক্ষোভ ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে ওঠে বদলাপুর।
এরপর গতকাল , সোমবার জানা যায়, পুলিশের গাড়িতে পুলিশকেই গুলি করতে গিয়েছিল অক্ষয়। আর তখনই নিজেদের বাঁচাতে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। আর তাতেই আহত হয় অভিযুক্ত। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই নার্সারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল ২৪ বছরের ছেলে। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন মা। তিনি ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, পুলিশের দাবি ঠিক নয়। পুলিশ দাবি করে , অক্ষয়ই প্রথম কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালায়। ছেলে গুলি করতে পারে, সেটাই অস্বীকার করছে তাদের পরিবার। তার উপর পুলিশকে গুলি করার বিষয়টি ভাবনার বাইরে অভিযুক্তের মায়ের। তাদের অভিযোগ , ছেলেকে ধর্ষণের মামলায় দোষ স্বীকার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্তের মা ও কাকার দাবি, 'আমার ছেলে পটকা ফাটলে রাস্তা পার হতে ভয় পেত। সে কীভাবে পুলিশকে গুলি করতে পারে। চাপের মুখে তাকে দিয়ে দোষ স্বীকার করানো হয়েছে। তাকে কী লিখতে বলা হয়েছে,শুধু সেই জানে'
অক্ষয়ের পরিবারের লোকেদের দাবি, পুলিশ তাদের ছেলেকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজমেন্টকেও তদন্তের আর্জি জানায় পরিবার। অক্ষয়ের মায়ের বক্তব্য, তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি । ছেলে সবসময়ই জিগ্যেস করত , কখন ছাড়া পাবে। পুলিশের দাবি, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল। আর সেটি করেছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী।
অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল নিকম দাবি করেন, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে । বিষয়টি আদালতে গেলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত।