Krishna Das Prabhu : বাংলাদেশে আটক হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হল অজানা জায়গায়
Hindu Leader : কোনও এক অজানা জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনই খবর সিএনএন-নিউজ ১৮ সূত্রের।
ঢাকা : বাংলাদেশে আটক হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু। সোমবার ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। কোনও এক অজানা জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনই খবর সিএনএন-নিউজ ১৮ সূত্রের।
ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী একজন হিন্দু নেতা এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ISKCON)-এর সদস্য।
সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে কাঞ্চন গুপ্তা দাবি করেছেন, "নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, মুসলিমদের তরফে হিন্দুদের লক্ষ্য করে ঘৃণ্য হামলা চালানো হচ্ছে, এই অভিযোগে হিন্দুদের তরফে একটি বিশাল সভার নেতৃত্ব দেওয়ায় চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় এই নেতাকে ইউনুস সরকারের গোয়েন্দা শাখা নিয়ে গেছে।"
Hindu leader and ISKCON monk Chinmoy Krishna Das Brahmachari is reported arrested in Dhaka by Yunus Regime Police.
— Kanchan Gupta 🇮🇳 (@KanchanGupta) November 25, 2024
Chinmoy Krishna Das Brahmachari was charged with sedition after he led a massive rally of Hindus protesting targeted hate attacks and demanding protection from…
সিএনএন-নিউজ ১৮-কে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তাঁর (চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী) বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর ও তদন্ত ঝুলে রয়েছে।
বাংলাদেশে থাকা একাধিক হিন্দু গোষ্ঠী দাবি করেছে, ISKCON-এর এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত কয়েক মাসে অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে লাগাতার, আবার এক এক করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব স্মৃতিচিহ্নও মুছে ফেলার অভিযোগ উঠছে। সেই আবহেই দেশের সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে সম্প্রতি। সাধারণ মানুষ বা কোনও দলের সমর্থকরাই নন শুধু, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান স্বয়ং এই প্রস্তাব দেন। দেশের সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলছিল। সেই সময় আসাদুজ্জামান সংবিধানকে নতুন করে সংশোধনের পক্ষে, 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি ছেঁটে ফেলার পক্ষে সওয়াল করেন বলে খবর। আসাদুজ্জামান জানান, দেশের সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ', 'সমাজতন্ত্র', 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর মতো শব্দ বাদ দেওয়া উচিত। সংবিধানে মুজিবকে যে 'জাতির জনক' বলে উল্লেখ করা হয়, তাও হটানোর পক্ষে আসাদুজ্জামান। (Bangladesh News)