WB Corona 2nd Wave:সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা, করোনা রুখতে ১১ দফা নির্দেশিকা রাজ্যের
এরইমধ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এক প্রেস বিবৃতিতে করোনা মোকাবিলায় ১১ দফা নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে।
কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তর সংখ্যা। শনিবারের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় নতুন করে ৭৭১৩ করোনাই আক্রান্ত হলেন । এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে ৬৫১৫০৮ জন করোনা আক্রান্ত হলেন । গত ২৪ ঘন্টায় সারা বাংলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৪ জনের । করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে এ রাজ্যে করোনায় মারা গেলেন সাড়ে ১0 হাজারেরও বেশি মানুষ । পশ্চিমবঙ্গে ১৭ এপ্রিল এর হিসেব অনুযায়ী করোনার অ্যাক্টিভ কেস মোট ৪৫৩০০ ।
এরইমধ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এক প্রেস বিবৃতিতে করোনা মোকাবিলায় ১১ দফা নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সময়ে সময়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। এই লক্ষ্যে নতুন করে নির্দেশিকা জারি হচ্ছে।
এবার যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তাতে বলা হয়েছে-
১.গণ পরিবহন সহ জনবহুল স্থানগুলিতে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে চলবে হবে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে নজরদারি চালাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২. সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও বাণিজ্যিক চত্বর সহ সহ অন্যান্য কর্মস্থলে সপ্তাহে একদিন সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে।
৩. সমস্ত বাজারগুলিতে ২০২০-র মতোই চেম্বার অফ কমার্স বা ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে।
৪. বাজার, সাপ্তাহিক বাজার, সরকারি ও বেসরকারি পরিবহণের মতো জনবহুল জায়গাগুলিতে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
৫. সমস্ত দোকান, বাজার, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে।
৬. রাজ্য সরকারের আওতাধীন অফিসগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের বেশি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, কর্মীরা রোটেশনাল ভিত্তিতে অফিসে আসবেন।
৭. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে যত দূর সম্ভব বাড়িতে থেকে কর্মীদের কাজ, কর্মীদের বিভিন্ন শিফ্টে বা রোটেশনাল ভিত্তিতে অফিসে আনার ব্যবস্থা ফের চালুর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৮. কর্মস্থলের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কর্মীদের মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্বর মতো বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৯. শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথে থার্মাল স্ক্রিনিং, হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১০. স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলগুলিকে এর আগের জারি করা নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
১১. এই সমস্ত বিধিব্যবস্থার কোনওভাবে লঙ্ঘন ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।