East Burdwan: কাটোয়ায় ছাত্রদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে মাইক নিয়ে পথে নামল শিক্ষকরা
East Burdwan: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দেড় বছর পর সরকারি নির্দেশে স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। দশ দিন হয়ে গেলেও পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে না। স্কুলে ছাত্র ফেরাতে মাইক নিয়ে প্রচার শিক্ষকদের।
রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: সপ্তাহখানেক হতে চলল স্কুল খুলেছে তবুও ক্লাসগুলোতে ছাত্রের সংখ্যা একেবারেই কম তাই ছাত্রদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে মাইক নিয়ে পথে নামল শিক্ষকরা। স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে অভিনব এই উদ্যোগ। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মাইক নিয়ে অভিভাবকদের কাছে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ করছেন দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষকরা। মাইক হাতে শিক্ষকরা আজ সকাল থেকে রাস্তায় নেমে দাঁইহাট শহরের পাইকপাড়া, মজিদপাড়া সহ বাজার এলাকায় প্রচার করলেন। প্রচারের ফাঁকে অভিভাবকদের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকের দল পড়ুয়া কেন স্কুলে যাচ্ছে না তার খোঁজ খবর নিলেন।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দেড় বছর পর সরকারি নির্দেশে স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। দশ দিন হয়ে গেলেও পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে না। স্কুলে ছাত্র ফেরাতে প্রধান শিক্ষক মনোহর দাস এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেন। সার্ধশতবর্ষ পার করা কাটোয়া মহকুমার দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জনা দশেক শিক্ষক আজ দুপুর থেকে এলাকায় মাইক হাতে প্রচার শুরু করেন।দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ১৪৯৫ জন।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫৬ জন। দশ দিন স্কুল খুললেও প্রায় পাঁচশো পড়ুয়া স্কুলে আসছে না। পড়ুয়া কেন স্কুলে আসছে না এই চিন্তা থেকেই মাইকে প্রচারের ভাবনা আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের। মাইকে শিক্ষক মশাইরা অভিভাবকদের উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেন আপনারা যেন অবশ্যই ছেলে- মেয়েদের স্কুলে পাঠান। কোভিড বিধি মেনে স্কুলে পাঠান। শুধু নিজেদের স্কুলের জন্য বলছেন না এলাকার গার্লস স্কুলের জন্যও ছাত্রীদের বাড়ি গিয়েও প্রচার করেন শিক্ষকগণ। প্রধান শিক্ষক মনোহর দাস বলেন, ''১৬ নভেম্বর স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার অনেক কম। অনেক ছাত্র জানেনা স্কুল খুলেছে আবার অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেদের করোনার কারণে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। সেই ভয় কাটাতে আমরা শিক্ষকরা মিলে এলাকায় প্রচার শুরু করেছি।''