Saraswati Puja: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী বন্দনায় নাচ বিতর্ক, তদন্তের সিদ্ধান্ত উপাচার্যের
গানের সঙ্গে ছাত্রীদের কোমর দোলানোর ছবি দেখে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। বন্ধ কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে অনুমতি ছাড়াই এই নাচগান কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য। গোটা ঘটনাটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: সরস্বতী পুজোয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টুম্পা সোনা’ গান। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচলেন পড়ুয়ারা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী বন্দনায় টুম্পা সোনা নাচ ঘিরে তুমুল বিতর্ক।
গানের সঙ্গে ছাত্রীদের কোমর দোলানোর ছবি দেখে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। বন্ধ কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে অনুমতি ছাড়াই এই নাচগান কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য। গোটা ঘটনাটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ‘অনুমতি ছাড়াই হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় কঠোরতম তদন্তের সিদ্ধান্ত উপাচার্যের। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যা হয়েছে তা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরোধী’।
রবীন্দ্রভারতীর পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ফের শিরোনামে শহরের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়। বিতর্কে জড়ালেন পড়ুয়ারা। গত বছর বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রভারতীতে আনন্দে মাতেন পড়ুয়ারা। ‘মাত্রাহীন’ সেই আনন্দ নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। অভিযোগ, বসন্ত উৎসবের পালন করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে চূড়ান্ত অসভ্যতা করেছে পড়ুয়াদের একাংশ। কিছু ছাত্র রং ও লাল আবির দিয়ে বুকে অশ্লীল ভাষায় কিছু শব্দ লেখা রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাস। ছাত্রীদের পিঠেও লেখা হয়েছে ভাষায় প্রকাশ করার অযোগ্য ভাষা। যা ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়া। সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাত্রছাত্রীরা সকলেই হুগলির চন্দননগর কলেজের পড়ুয়া।
গতকাল প্রায় সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরে এল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি। কারা ঘটাল এই ঘটনা? বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বর্ষের পড়ুয়া তাঁরা? একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে এই ঘটনার পর।