ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড, মৃত মায়ের দেহ ৩ দিন ধরে আগলে বসে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে
কলকাতা: রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে দিদি ও দুই পোষ্যের কঙ্কাল আগলে ছ’মাস বসে ছিলেন পার্থ দে। আর সল্টলেকে, ২ দিন ধরে মৃত মায়ের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে ছিলেন ছেলে ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। সল্টলেকের করুণাময়ীর এই বাড়িতেই ছেলের সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধা রঞ্জনা মুখোপাধ্যায়। স্বামী মারা গেছেন ২ বছর আগে। কয়েকমাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন রঞ্জনা। ছেলে ইন্দ্রজিতের দাবি, শুক্রবার ভোরে বাড়িতেই তাঁর মা রঞ্জনার মৃত্যু হয়। এরপর ২ দিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে ঘরেই ছিলেন তিনি। বলেন, আমার মায়ের দীর্ঘদিন ধরে শরীর খারাপ ছিল। শুক্রবার ভোরবেলা মারা যায়। পাশের বাড়িতে কেউ মারা গেছেন, অথচ প্রতিবেশীরা কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ! তিনি বলেন, প্রতিবেশীরা সহযোগিতা করেনি। থানাও সহযোগিতা করেনি। আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। ইন্দ্রজিতের প্রতিবেশীদের কাছে এ ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি। বরং মৃতের ছেলেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি করছেন তাঁরা। এক প্রতিবেশী বলেন, ৩ দিন ধরে পড়েছিল। আজ সকালে ভ্যান নিয়ে আসে ছেলে। অসহযোগিতার অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চায়নি পুলিশ। রবিবার সকালে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে, মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা। ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ শুনে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে পাইকপাড়ার অনির্বাণ বসুর কথা। যিনি, তাঁর মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন ৬ দিন। সেক্ষেত্রেও অনির্বাণে বসুর প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে উঠেছিল উদাসীনতার অভিযোগ। আসলে মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে বড্ড ব্যস্ত। যেখানে এককালে অসুখ করলে গোটা পাড়া ছুটে আসত সেখানে এখন মৃত্যুর পর পাশের বাড়ির লোকের তা জানতে লেগে যাচ্ছে বেশ কয়েকটা দিন!