Caste Difference: প্রায়শ্চিত্তের নামে ব্রাহ্মণের পা ধোওয়া জল খেতে বাধ্য করা হল ওবিসি সম্প্রদায়ের যুবককে !
OBC Category: এই লজ্জাজনক ঘটনায় একটি পুলিশ কেস দায়ের হয়েছে। একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। এফআইআর দায়ের করেছেন কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের এক সদস্য। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।

মধ্যপ্রদেশ : একুশ শতকে দাঁড়িয়েও আমাদের সমাজ যে এখনও কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে পিছিয়ে রয়েছে, সম্প্রতি তারই প্রমাণ দিল মধ্যপ্রদেশ। সেখানকার দামোহ জেলায় 'জাতের বিভেদ' এতটাই প্রকট ভাবে দেখা দিয়েছে যে, তার বিবরণ শুনে আঁতকে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। ওবিসি জাতের এক তরুণকে বাধ্য করা হয়েছে, এক ব্রাহ্মণের পা ধুয়ে, সেই জল পান করার ব্যাপারে। এই ন্যাক্কারজনক মুহূর্তের আবার ভিডিও করা হয়েছে এবং তা হু হু করে ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরে অবশ্য গর্জে উঠেছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জনগণের একটা অংশ নড়েচড়ে বসায় মন্দের ভাল এটুকুই হয়েছে যে, এই লজ্জাজনক ঘটনায় একটি পুলিশ কেস দায়ের হয়েছে। একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। এফআইআর দায়ের করেছেন কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের এক সদস্য। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। বিভিন্ন জাতের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে, এই আইনের ধারাতেও রুজু হয়েছে মামলা।
কী ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়
পুরুষোত্তম কুশওয়াহা, ওবিসি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। এই ব্যক্তিকেই বাধ্য করা হয়েছে অন্নু পাণ্ডে নামে এক ব্রাহ্মণ ব্যক্তির পা ধুয়ে সেই জল পান করার ব্যাপারে। সমস্ত গ্রামবাসীর সামনে এই কাজ করতে হয়েছে পুরুষোত্তমকে। স্বভাবতই তাঁর অপমানের মাত্রা ঠিক কতটা তা হয়তো আর পাঁচজনের পক্ষে বোঝাও সম্ভব নয়। এখানেই শেষ নয়। ৫১০০ টাকা জরিমানাও নেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তমের থেকে। সমগ্র ব্রাহ্মণ সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে।
ঘটনার সূত্রপাত কী থেকে
সাতারিয়া গ্রামের বাসিন্দা পুরুষোত্তম। সেখানেই থাকেন অন্নু পাণ্ডেও। গ্রামের একটি বচসা থেকেই এতদূর গড়িয়েছে গোটা ব্যাপারটা। সাতারিয়া গ্রামে নিষিদ্ধ হয়েছিল মদ। তারপরেও মদ বিক্রি চালিয়ে যেতে থাকেন অন্নু নামের ওই ব্যক্তি। গ্রামবাসীদের কাছে ধরা পড়ার পর জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। দিতে হয় ২১০০ টাকা। এই অবধি বিষয়টা মেনে নিয়েছিলেন অন্নু। কিন্তু সমস্যা তৈরি করে একটি ছবি। অভিযোগ, পুরুষোত্তম AI ব্যবহার করে অন্নুর একটি ছবি তৈরি করেন। সেখানে অন্নুর গলায় জুতোর মালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। এই ছবি পুরুষোত্তম শেয়ার করেছেন বলেও অভিযোগ। যদিও শোনা যাচ্ছে, কয়েক মিনিটের মধ্যে ছবি ডিলিট করে নাকি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন পুরুষোত্তম। কিন্তু বিষয়টি তাতে ঠান্ডা হয়নি। এ হেন কাজ সমগ্র ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কাছে অপমানের বলে ধরে নেন অনেকে। গ্রামের ঝামেলায় ঢুকে যায় জাতের বিভেদের তত্ত্ব। গ্রামেরই ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কিছু লোক একত্রিত হয় দাবি করেন, নিজের কাজের জন্য পুরুষোত্তমকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। চাপের মুখে অন্নু- র পা ধুয়ে সেই জল পান করতে বাধ্য হন পুরুষোত্তম। সেই ভিডিও-ই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।






















