Operation Sankalp : দেশের অভ্যন্তরেও সক্রিয় ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী, ঘন জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম ২২ মাওবাদী
Indian Security Forces: বিদ্রোহ-বিরোধী বিশাল উদ্যোগে এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর।

বিজাপুর : এনকাউন্টারে খতম ২২ জন মাওবাদী। ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার ঘন জঙ্গলে এদিন গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে। তেলঙ্গানার সীমান্তবর্তী ওই জেলায় 'অপারেশ সংকল্প'-তে টানা এনকাউন্টারে নিহত মাওবাদীরা। বিদ্রোহ-বিরোধী বিশাল উদ্যোগে এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর।
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন সকালে কারেগুট্টার পাহাড়ি জঙ্গলে আন্তঃজেলা সীমানা বরাবর উভয় পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ২২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। নিহত ক্যাডারদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিনের এনকাউন্টারের সঙ্গে সঙ্গে, ২১ এপ্রিল থেকে চলতে থাকা অপারেশন সংকল্প-তে নিহত মাওবাদীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬। বস্তার এলাকায় অন্যতম বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযান অপারেশন সংকল্প। যে অভিযানে যুক্ত রয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ২৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটারস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সব ইউনিট, CRPF এবং তাদের এলিট ইউনিট CoBRA-র কর্মীরা রয়েছেন এতে।
গত জানুয়ারি মাসেই ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে জওয়ানদের গাড়িতে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ করা হয়। মাওবাদী হামলায় ৮ জওয়ান-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মাওবাদী দমন অভিযান থেকে ফেরার পথে হামলা হয় বলে জানা যায়। ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে জওয়ানদের গাড়িতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাওবাদী হামলায় ৮ জওয়ান-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। মাওবাদী দমন অভিযান সেরেই ফিরছিলেন ওই জওয়ানরা। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, কার্যত ধসে যায় রাস্তার একটা বড় অংশ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রাস্তার একটা বড় অংশ ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়।
এর আগে, একাধিকবার এনকাউন্টার ঘটেছে ছত্তিসগঢ়ে। গুলিতে জখম হয়েছিল দুই পক্ষেরই একাধিক জন। গত বছরের নভেম্বর মাসে গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছে ১০ জন মাওবাদী। বস্তারের কোন্টার ভেজজি এলাকায় পুলিশি এনকাউন্টারে মারা যায় ওই ১০ জন মাওবাদী। এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র। এর আগে দান্তেওয়ারাতেই বড় সাফল্য পেয়েছিল ছত্তিসগঢ় প্রশাসন। নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্ত (Narayanpur-Dantewada border) এলাকার একটি জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ৩৬ জন মাওবাদীকে (Maoists) খতম করেছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দান্তেওয়াড়ার ডিস্টিক্ট্র রিজার্ভ ফোর্স ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জওয়ানরা মাওবাদী দমন অভিযান শুরু করেন নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্ত এলাকায়। আর জঙ্গলের একটি জায়গায় তল্লাশি চালানোর সময় আচমকা লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সঙ্গে তুমুল গুলির লড়াই শুরু হয় তাঁদের। যার জেরে খতম হয় ৩৬ জন মাওবাদী।






















