Gambia Child Deaths : গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুতে নাম ওঠা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে : কেন্দ্র
Gambia Child Deaths Update : মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি সিরাপের নুমনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে
নয়া দিল্লি : গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর (Gambia Child Deaths) ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কাশির সিরাপকে। সেই সিরাপের নমুনা এবার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল। বৃহস্পতিবার একথা জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর পাশাপাশি পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই সিরাপ রফতানির জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ভারতে বিক্রির জন্য নয়।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি সিরাপের নুমনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইনপুট নেওয়ার পর আরও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার স্ক্যানারে কাশির সিরাপ-
পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর ওষুধ সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রায় সব মহাদেশেই ভারত থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। মূলত আফ্রিকায়।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার স্ক্যানারে ভারতীয় সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ। সম্প্রতি গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশু মারা যায়। সূত্রের খবর, তারপরেই ভারতীয় সংস্থার তৈরি ওই কাশির সিরাপ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি সাবধান বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস (Maiden Pharmaceuticals)-এর তৈরি চারটি কাফ সিরাপ সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছে। ওই শিশুদের মৃত্যুর সঙ্গে এই কাশির সিরাপের কোনওরকম যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ওই কাশির সিরাপ গাম্বিয়া ছাড়াও আরও কিছু দেশে পাঠানো হয়েছে, তাই অন্য দেশগুলির জন্যও সাবধানবার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ওই সংস্থার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন (Promethazine Oral Solution), কোফেক্সম্যালিন বেবি কাফ সিরাপ (Kofexmalin Baby Cough Syrup), ম্যাকফ বেবি সিরাপ ( Makoff Baby Cough Syrup) এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ (Magrip N Cold Syrup)-এই চারটি নিয়ে সাবধানবার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ, এগুলিতে রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল । যা বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, এমনকী কিডনিরও ক্ষতি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে কোনও ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা মেইডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ। যদি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে মেইডেনের ডিরেক্টর নরেশ কুমার গয়াল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার কথা শুনেছি। এনিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার চেষ্টা করছি।
এদিকে ভারতের তরফে WHO-কে তাদের রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; WHO-এর স্ক্যানারে ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ, কারণ কি গাম্বিয়ার শিশুমৃত্যু?