সাংবাদিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের
ল্লির এক প্রবীণ সাংবাদিক মোদির সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছিল
নয়াদিল্লি: প্রত্যেক সাংবাদিকের অধিকার সুরক্ষিত। তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। একটি মামলার সূত্রে এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির এক প্রবীণ সাংবাদিক মোদির সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত। ১৯৬২ সালের এক মামলার রায় উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকারের কাজের সমালোচনা করলে কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা যায় না। শীর্ষ আদালত বলছে, কারণ, তা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী।
হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা সাংবাদিক বিনোদ দুয়া। গত বছর ৩০ মার্চ একটি ভিডিওতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন দুয়া। তা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা অজয় শ্যাম। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ মে দুয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা অবমাননাকর জিনিস ছাপানো (-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করে হিমাচল প্রদেশ পুলিশ। কী ছিল ওই ভিডিওতে? ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন তিনি। যা আপলোড করা হয় ইউটিউবে। ওই ভিডিওতে লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতির কটাক্ষ করেছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক। আর এরপরই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গতকাল, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চে। দেশের শীর্ষ আদালত ১৯৬২ সালের কেদার নাথ মামলার রায় উল্লেখ করে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রবীণ সাংবাদিককে। এই মামলা বাতিল করে বিচারপতি বলেন, ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা কোনও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা যায় না, যদি না হাইকোর্টের বিচারকের নেতৃত্বাধীন প্যানেল তাতে অনুমতি না দেয়। ১৯৬২ সালের রায় উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত বলেছে, সরকারের পদক্ষেপের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ বা বিরোধিতা করে কঠোর শব্দ প্রয়োগ দেশদ্রোহ নয়। একইসঙ্গে ওই রায়ের কথা উল্লেখ করে আদালত বলে, দেশদ্রোহিতার বিষয়ে কেদারনাথ সিংহের রায় অনুসারে প্রত্যেক সাংবাদিক এই ধরনের অভিযোগ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।"