India-Bangladesh Relations: কাল আন্তর্জাতিক জলসীমানায় মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী, হবে এই মহৎ কাজ
International Waters Boundary: গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এই ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ভারতের জলসীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
গৌতম মণ্ডল, কাকদ্বীপ : ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই কাল দুই দেশে আটক মৎসজীবীদের আদান-প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরবেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী, অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন ৯০ জন মৎস্যজীবী। এর জেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা।
গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এই ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ভারতের জলসীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে বাংলাদেশের পটুয়াখালি এবং মঙ্গলায় আটক ছিলেন তাঁরা। ৯৫ জন মৎস্যজীবী জেলবন্দি ছিলেন এবং ৬টি ট্রলার আটক ছিল বাংলাদেশে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৯০ জন মৎস্যজীবী, এরমধ্যে ১২ জন কাকদ্বীপে এবং ৭৮ জন পারাদ্বীপে বন্দি ছিলেন। গত ২৪ তারিখে ডায়মন্ড হারবার জেল থেকে ১২ জনকে মুক্ত করা হয় । অন্যদিকে, ভারতের যে ৯৫ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশে বন্দি ছিলেন, গত পরশু দিন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ বলে আজ পটুয়াখালি বন্দর থেকে ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে রওনা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামীকাল বেলা ১২টা নাগাদ আন্তর্জাতিক জলসীমানায় উভয় দেশের মৎস্যজীবীদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবীর অধিকাংশই কাকদ্বীপ এবং নামখানার বাসিন্দা। আগামী ৬ জানুয়ারি এঁদের গঙ্গাসাগরে নিয়ে আসা হবে। এদিকে ৬ তারিখেই গঙ্গাসাগরে পৌঁছাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। প্রথমে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একের পর এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর। ওপার বাংলা থেকে এসেছে একের পর এক হুঁশিয়ারি। পাল্টা জবাবও পেয়েছে তারা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আগামীদিনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন দিকে এগোয় তা নিয়ে চর্চা রয়েছেই। এরই মধ্যে সৌজন্যের বার্তা দিয়ে দিনকয়েক আগে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে পৌঁছে যান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে সদ্য প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তাঁর প্রতিকৃতিতে পরান মালা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঢাকায় বারিধারায় থাকা ভারতীয় হাই কমিশনে মহম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান ভারতীয় দূত প্রণয় কুমার ভার্মা। সেখানে উভয়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়। দীর্ঘদিনের বন্ধু মনমোহন সিংহের সঙ্গে তাঁর স্মৃতি শেয়ার করেন ইউনূস।