United Nations: দ্বিরাষ্ট্র নীতিকেই সমর্থন, রাষ্ট্রপুঞ্জে প্যালেস্তাইনের পাশে ভারত, তীব্র আপত্তি জানাল আমেরিকা ও ইজরায়েল
India Votes for Palestine's Statehood: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ‘New York Declaration’ পেশ করা হয়।

নয়াদিল্লি: পৃথক প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের পক্ষে বরাবরই সমর্থন ছিল। এমনকি আরব দুনিয়ার পর ভারতই প্রথম দেশ, যারা প্যালেস্তিনীয়দের প্রতিনিধি হিসেবে Palestine Liberation Organisation-কে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আগের সেই অবস্থান থেকে ভারত সরে আসছে কি না, প্রশ্ন উঠছিল গত কয়েক বছর ধরেই। আর সেই আবহেই ভারত ফের প্যালেস্তাইনের সমর্থনে এগিয়ে এল। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভোটাভুটিতে দ্বিরাষ্ট্র নীতির পক্ষেই ভোট দিল ভারত। অর্থাৎ ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন, দুই পৃথক রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে ভোট দেওয়া হল। (India Votes for Palestine's Statehood)
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ‘New York Declaration’ পেশ করা হয়। রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠকের আগে, শুক্রবার ওই ঘোষণাপত্রটি জমা পড়ে। ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন, দুই পৃথক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপরেখা সাজানো রয়েছে ওই ঘোষণাপত্রে। ওই ঘোষণাপত্রে যে দ্বিরাষ্ট্রের প্রস্তাব রয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছে ভারত। শুধুমাত্র ভারতই নয়, ১৪২টি দেশই পৃথক ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ১০টি দেশ। ১২টি দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। (United Nations)
দ্বিরাষ্ট্র নীতিতে সায় জানিয়েছে সব আরব দেশই। তবে ইজরায়েল, আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, মাইক্রোনেশিয়া, পালাউ, পাপুয়া নিই গিনি, প্যারাগুয়ে, টঙ্গা ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তবে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বেশ কিছু দিন ধরেই প্যালেস্তাইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অবস্থান ঘিরে প্রশ্ন উঠছিল। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভোটাভুটির সময় ভোটদান থেকে বিরত থাকা হচ্ছিল। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে গত তিন বছরে মোট চার বার ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। আমেরিকা এবং ইজরায়েলের সঙ্গে সখ্যের জেরেই মোদি সরকার অবস্থান পাল্টাচ্ছে বলে বিস্তর কাটাছেঁড়া হয় সেই সময়। তাই দ্বিরাষ্ট্র নীতির পক্ষে ভারতের সমর্থন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যে হামলা চালায়, সাত পাতার ওই ঘোষণাপত্রে তার নিন্দা করেছে সব দেশই, যাতে ১২০০ ইজরায়েলি নাগরিক মারা যান, পণবন্দি হন ২৫০ জন। পাশাপাশি, গাজায় যে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে ইজরায়েল, যেভাবে নিরীহ নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটে চলেছে, অভুক্ত, অবরুদ্ধ করে রেখে যেভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে প্যালেস্তিনীয়দের উপর, তারও নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর করত এগিয়ে আসতে হবে ইজরায়েলি নেতৃত্বকে। প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে হিংসা, উস্কানি বন্ধ করার পাশাপাশি, প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ড জবরদখল বন্ধ করতে হবে। ঘোষণাপত্রে সাফ বলা হয়েছে, ‘গাজা প্যালেস্তাইনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে হবে। কোনও রকম জবরদখল, অবরোধ, উচ্ছেদ চলবে না’।
ইজরায়েল যদিও দ্বিরাষ্ট্র নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, ‘আবারও প্রমাণ হয়ে গেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা রাজনৈতিক সার্কাস ছাড়া কিছু নয়, বাস্তব থেকে অনেক দূরে। ঘোষণাপত্রে গুচ্ছ গুচ্ছ শর্ত থাকলেও, একটিবারও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়নি’। আমেরিকা জানিয়েছে, তারা এই ঘোষণাপত্রকে সমর্থন করে না। আমেরিকার কূটনীতিক মর্গ্যান ওর্টাগাস বলেন, “ভুল হচ্ছে। এই ঘোষণাপত্র হামাসের জন্য উপহার।”






















