Assam Floods: জল থই থই অসমে রেললাইনে ঠাঁই ৫০০ পরিবারের, মৃত ১৪, ক্ষতিগ্রস্ত ৮ লক্ষ মানুষ
Assam Floods 2022: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮ লক্ষের বেশি মনুষ।
গুয়াহাটি: যতদূর চোখ যায়, জল শুধু জল। মধ্যিখানে কোনও রকমে মাথা তুলে রেললাইনের সরলরেখা। আপাতত তার উপরই ‘থিতু’ প্রায় ৫০০ পরিবার। বন্যা দুর্গত অসম থেকে এমনই ছবি উঠে এল। তল্পিতল্পা নিয়ে ওই লাইনের উপরই পাশাপাশি রয়েছেন গরু-বাছুর এবং মানুষ (Assam Floods 2022)।
বিপজ্জনক অবস্থায় রেললাইনে ঠাঁই
অসমের (Assam Flood Situation) যমুনামুখ জেলার ঘটনা। এ বারের বন্যায় সেখানকার চাঙজুড়াই এবং পাতিয়া গ্রামের মানুষ সর্বস্ব খুইয়েছেন। ওই দুই গ্রাম থেকে তো বটেই, আশেপাশের গ্রাম থেকেই বহু মানুষই এসে জুটেছেন রেললাইনের উপর। এরমধ্যে টাকা ধার নিযে ছোটখাটো একটি ত্রিপল জোগাড় করেছেন কয়েক জন মিলে। রেললাইনের উপর সেটি খাটিয়েই কোনও রকমে মাথা গুঁজেছেন পাঁচটি পরিবার। সকলের মাথায় ত্রিপুল পৌঁছচ্ছে এমনও নয়। জলের উপরে রয়েছেন, এটুকুই সান্ত্বনা।
ওই সমস্ত মানুষের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের কোনও রকম সাহায্য পাননি তাঁরা। ৪৩ বছর বয়সি মনোয়ারা বেগম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বন্যার জলে ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। জল ভেঙে অন্যত্র যাওয়ার সময় রেললাইনটিকেই মাথা তুলে দাঁড়িযে থাকতে দেখেন। একে একে বাকিরাও এসে জোটেন। ওই একটি মাত্র ত্রিপলও টাকা ধার করে কিনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনোয়ারা।
আরও পড়ুন: Biplab Deb : উড়ানের আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি ! অল্পের জন্য দুর্ঘটনা এড়াল বিপ্লব দেবের হেলিকপ্টার
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮ লক্ষের বেশি মনুষ। রাজ্যের ২৯টি জেলার ২ হাজার ৫৮৫টি গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৪ জন। লাগাতার বৃষ্টিতে (Heavy Rainfall) ধসও নেমেছে বহু জায়গায় (Landslide)।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৪২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৭৭২ মানুষ। আরও ৪১১টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে। খাবার-দাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজও চলছে। হেলিকপ্টার এবং নৌকা পাঠিয়ে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২১ হাজার ৮৮৪ জন মানুষকে।
বন্যায় বিপর্যস্ত অসম
যদিও ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, বন্যায় ফসল-সমেত তাঁদের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। গলায় ঢালার জন্য পানীয জলটুকুও মিলছে না। গত চারদিন ধরে সরকারের কাছ থেকে সামান্য চিঁড়ে ছাড়া আর কিছু মেলেনি বলে দাবি দুর্গতদের একাংশের।