Omicron Treatment: আঠারোর কমবয়সীদের ওমিক্রন চিকিৎসায় একগুচ্ছ নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের, বাদ এই ওষুধগুলি
পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নীচে নামলেই ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। মৃদু উপসর্গ থাকলেও ব্যবহার করা যাবে না স্টেরয়েড।
নয়াদিল্লি: অনূর্ধ্ব ১৮ দের দেওয়া যাবে না রেমডেসিভির (Remdesivir), মলনুপিরাভির (Molnupiravir) অ্যান্টিবডি ককটেল (Antibody Cocktail)। ওমিক্রন চিকিৎসায় (Omicron Treatment) নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র (Central Government)। রেমডেসিভির (Remdesivir), মলনুপিরাভির, অ্যান্টিবডি ককটেল (Antibody Cocktail) না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বয়সীদের। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নীচে নামলেই ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। মৃদু উপসর্গ থাকলেও ব্যবহার করা যাবে না স্টেরয়েড।
তবে এ ক্ষেত্রে একমাত্র গুরুতর অসুস্থ হলেই, হাসপাতালে ভর্তি করার পর স্টেরয়েড প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন ঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রা, নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় এই স্টেরয়েড। উল্লেখ্য, করোনা-মুক্ত হওয়ার পরেও ২ মাস পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
উল্লেখ্য, উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে এনে করোনা নিয়ে ফের সতর্কবার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র (WHO) প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, বিশ্বে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন(Omicron) । গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা স্থিতিশীল হলেও, সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Maharashtra Covid Update: সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে ফের খুলছে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল
করোনা-আবহে উদ্বেগ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশের বেশি বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল প্রায় ১৯ শতাংশ। একইসঙ্গে বাড়ল সংক্রমণ হারও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১০।
এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে আসছে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। যে ওমিক্রনকে মাইল্ড ডিসিজ বলে নিশ্চিন্ত হচ্ছিলেন অনেকে, তার সংক্রমণের ঢেউতেই বাংলার বেশিরভাগ হাসপাতালের বেডই ভর্তি। আইসিইউ বেড। এইচডিইউ-ও। এই পরিসংখ্যান স্বাভাবিক ভাবেই কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের।
তবে কি ওমিক্রন ঢেউ যাওয়ার আগে শেষ কামড় দিয়ে যাবে? যদিও চিকিৎসকদের একাংশের আশা, আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই নিম্নমুখী হবে সংক্রমণের গ্রাফ । সারা বিশ্বের পরিসংখ্যানই ভাবাচ্ছে । বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬০৫ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৭২। জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত একলক্ষের বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা।